[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বাঘাইছড়ির সাজেকে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণরামগড় ৪৩বিজিবির ব্যবস্থাপনায় মাসিক নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবান্দরবানের লামায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ৭ দিন পরদীঘিনালা ৭ বিজিবি’র গেইট এখন বীর প্রতীক আবুল হাসেম নামে নাম করণকাপ্তাইয়ে ২৪এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতারাঙ্গামাটি বধির বিদ্যালয়ে ড্রেস ও চারা বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় রাম্বুটান ফল চাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্তখাগড়াছড়িতে এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৪জাতীয় সমাবেশকে সফল করতে গুইমারা উপজেলা জামায়াতের মিছিলবান্দরবানের লামায় শহীদ জুলাই দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের রুমায় অস্ত্রধারীর গুলিতে যুবক গুরুতর আহত

৭১৭

॥ রুমা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের রুমায় চাঁদা না পেয়ে উহ্লাচিং মারমা নামে এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে রুমার রিঝুক পাড়া গ্রামে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে রুমা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রিঋুক পাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় এবং পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ১৭ জনের সশস্ত্র এক দল রিঝুক পাড়াতে প্রবেশ করে। সেখানে গ্রামবাসীর থেকে চাঁদা দাবি করা হয়। তাদেরকে চাদাঁসহ কোনকিছু না দেওয়াতেই গ্রামবাসীর উপর অত্যাচারের পাশাপাশি গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে পাড়াবাসীরা গুলির ভয়ে এদিক সেদিক পালাতে থাকে। এসময় বাড়ির বাইরে থাকা উহ্লাচিং মারমা নামে এক যুবককে উদ্দ্যশ্যে করে গুলি করলে ঘটনাস্থলে আহত হন উহ্লাচিং মারমা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রুমা সদর হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসা জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় স্থানীয়রা কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত বলে জানান। আহত উহ্লাচিং মারমা, রুমা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রিঝুক পাড়া গ্রামে মৃতঃ মনাক মারমার ছেলে বলেও জানান।

সত্যতা নিশ্চিত করে ২নং রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা (শৈবং) বলেন, চাঁদা না পেয়ে গ্রামবাসীদের উপর বিনাকারণে গুলি চালিয়েছে কেএনএফ সদস্যরা। গুলিতে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় রুমা সচেতন নাগরিক সমাজ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে রুমা থানা এস আই মিদল জানিয়েছেন গুলিবিদ্ধ যুবক বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত মাসেও রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কের পাশে বাঙ্কার তৈরী করে চাঁদা আদায় করে আসছিল কেএনএফ সদস্যরা। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এসব ধ্বংস করা হয়। আবার কয়েকদিন পর রুমা পাইন্দু চেয়ারম্যান উহ্লামংকে চাঁদাদাবী করে বগালেক থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা। এরপর থেকে কেএনএফ চাদাবাজি,অপহরণ, বিহারে গিয়ে হয়রানী খুন সহ নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণের অতিষ্ঠ হয়ে উঠে রুমার সর্বসাধারণ মানুষ।