[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে চুরি-ছিনতাই হওয়া ৩৩টি স্মার্টফোন ফিরিয়ে দিল জেলা পুলিশ

১০৫

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সময় হারানো ও চুরি হওয়া ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। রবিবার বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

এসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) এবং সদ্য পুলিশ সুপার পদোন্নতি মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ তফিকুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুয়িদ রায়হান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তানভীর হাসান সহ মোবাইল ফোনের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পুুলিশ জানায়, সাধারণ ডায়েরি সূত্রে হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া এসব মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

দীর্ঘদিন পরে হলেও হারানো মোবাইল ফোন পেয়ে খুশি মালিকরা। জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পানছড়ি উপজেলার বাসিন্দা সুফল চাকমা বলেন, ফোন হারিয়ে যাওয়ার পরে, থানায় জিডি করেছিলাম। ভেবেছিলাম প্রয়োজনীয় ফোনটি আর খুঁজে পাব না। গতকাল রাতে পুলিশ অফিস থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আমার মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। ফোনটি পেয়ে খুব খুশি আমি। দূর্গম এলাকা তাইন্দং থেকে ৫৫ বয়সী আব্দুল সবুর নামের একজন বলেন, “আমি একজন দিনমজুর। আমার মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে। কলেজের পড়াশোনার কাজের জন্য আমার মেয়েকে আমি কষ্ট করে ধার দেনা করে একটি টাচ্ মোবাইল কিনে দেই। বাড়ীতে চার্জ দেওয়ার সময় আমার মেয়ের মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনটি হারিয়ে প্রচন্ড কান্নাকাটি করছিল। আমি আল্লাহর নিকট বিচার দেই। আজ আল্লাহ আমার ডাক শুনেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপারের মত যদি স্যার থাকতো তাহলে আমার মত গরিব দুঃখি মানুষের অনেক উপকার হতো। আল্লাহ স্যারের মঙ্গল করুন। স্যার অনেক দিন বেঁচে থাকুক।”

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের জিডির সূত্র ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইল প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যবান এই ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষদের আরও সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমন ও মানুষের সেবাদানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে একাধিকবার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।