স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
পানছড়িতে জমি বিক্রি করে বন্দোবস্তী না দেয়ার অভিযোগ ৪ ভুক্তভোগী পরিবারের
॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥
রেকর্ডীয় ভূমি হতে জায়গা বিক্রি করে বন্দোবস্তী না দেয়ার অভিযোগ তুলেছে পানছড়ির চার ভুক্তভোগী পরিবার। বিক্রেতা মরে যাওয়ার পর রেখে যাওয়া ওয়ারীশগনও করে চলেছে একি কান্ড। এতে করে ক্রেতা পরিবারগুলো বিশাল অংকের টাকা লেনদেন করে পড়েছে এখন মহাবিপদে। ঘটনাটি পানছড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া ব্রীজপাড় এলাকায়। ভুক্তভোগী আবদুল কাদের, বাবুল মিয়া, আইয়ুব আলী ও স্বামীহারা আছমা বেগম এখন স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মৃত আবদুল জলিলের সন্তান নুরুজ্জামান সওদাগর তাঁর ২৪৬নং ছোট পানছড়ি মৌজার ৩৮ নং খতিয়ানের একশত বিশ শতাংশ একর হইতে বার শতাংশ জমি মৃত ফজর আলীর সন্তান আবদুল কাদেরের নিকট বিক্রয় করেন ১৯৯০ সালে। ২০০২ সালে ১৪নং খতিয়ান থেকে তিন শতক বিক্রি করেন তিন শতাংশ বিক্রি করেন আবদুল গফুরের সন্তান বাবুল মিয়ার নিকট। নুরুজ্জামান সওদাগরের ওয়ারীশ আনোয়ার হোসেন ও সুমন মিয়া মৃত শরাফত আলীর সন্তান আইয়ুব আলীর নিকট ৩০৪ ও ৩০৭ নং দাগের দুই শতক করে মোট চার শতক ২০১৭ সালে বিক্রি করে। ২০১৫ সালে তাঁর সন্তান আনোয়ার হোসেন ১৪ নং খতিয়ান থেকে স্বামীহারা আছমা বেগমের নিকট নিকট বিক্রি করে দুই শতাংশ ।
নুরুজ্জামানের আরেক সম্ভান মোঃ ইকবাল (সিরাজ) স্বামীহারা আছমা বেগমের নিকট বিক্রি করে দুইটি বানিজ্যিক প্লট। উল্লেখ্য যে, নুরুজ্জামান সওদাগরের ওয়ারীশ আনোয়ার হোসেন ২০২৩ সালে মৃত শরাফত আলীর সন্তান আইয়ুব আলীর নিকট বিক্রিত ভূমি দুই শতক নামজারী মামলা নং ৮৬/২৩ রুজু করলেও শুনানীর পূর্বে তার আপন ছোট বোনকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে শুনানী স্থগিত করায়। যা যা ছিল ছিল বিক্রিত তুমি বড়োবন্তী না দেয়ার সুক্ষ পরিকল্পনা। বর্তমানে বিক্রিত ভূমিতে টয়লেট নির্মান করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানায় ক্রেতা আইয়ুব আলী।
এ ব্যাপারে মোল্লাপাড়াস্থ নুরুজ্জামান সওদাগরের বাড়িতে গিয়ে কোন ছেলেকে পাওয়া যায়নি তাঁর এক মেয়ে জানান, রেজেস্ট্রি দিই নাই সেটা সত্য তবে আমাদের ভাই আমাদেরকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে তাই আমরা তিন বোন মিলে অভিযোগ দিয়েছি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দীর্ঘ বছর পার হলেও জমি বিক্রয় কবলানামা মুলে নাম পরিবর্তন করে দেয়ার অঙ্গীকার করলেও তারা শুরু করেছে নানান তালবাহানা। কোন শালিশী বৈঠকেও তারা সামধানে যেতে রাজী নয় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আহির উদ্দিন। ভুক্তভোগীদের দাবী, জমি বিক্রির করলানামা মূলে বিক্রি করেও বিক্রেতারা বন্দোবস্তী না দিয়ে তালবাহনা করছেন। এ ব্যাপারে সকলে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি সহ সহযোগীতা চান এসব পরিবার।