বাঘাইছড়ির সাজেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই যুবক নিহত
॥ বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ॥
জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার (৪ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রগুলো জানিয়েছে। নিহত দুই যুবকের পরিচয় তাৎক্ষনিক পুলিশ জানাতে না পারলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন তারা ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের সদস্য। তবে কি কারনে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তা সঠিক জানাতে পারেনি।
এদিকে নিহত দুই জনের বিষয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙ্গামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা জেলার বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের মাচলঙে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত দুজনই তাদের সদস্য বলে জানান। এ ঘটনায় জেএসএস এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী জড়িত এবং ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকালে দলের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এবং সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, রবিবার দুপুরে জেএসএস গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাজেক ইউনিয়নের মাচলং ব্রিজ পাড়ায় একটি দোকানে এসে অতর্কিতভাবে ইউপিডিএফের দুই সদস্যের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ারে ঘটনাস্থলে দীপায়ন চাকমা (৩৮) ও আশুক্য চাকমা ওরফে আশীষ (৪৫) নামে দুই ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হন।
নিহত দীপায়ন চাকমা ৩৬ নং সাজেক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের এগুজ্জেছড়ি গ্রামের মৃত অনিল বরণ চাকমার ছেলে, আর আশুক্য চাকমা ৩৪ নং রূপকারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোরঘোনা গ্রামের মৃত শান্তি কুমার চাকমার ছেলে। বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা এই হত্যার ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক আখ্যায়িত করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে ইউপিডিএফের চলমান আন্দোলন বানচাল করে দেয়ার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে প্রতিনিয়ত ইউপিডএফ নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে।
বিবৃতিতে তিনি নেতা-কর্মী খুন করে ও দমন-পীড়ন চালিয়ে ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করা যাবে না মন্তব্য করে বলেন, শাসকগোষ্ঠির খপ্পড়ে পড়ে জেএসএস আবারো খুনের নেশায় মেতে উঠেছেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিকামী জনতা তার এই জুম্ম ধ্বংসের কার্যকলাপ রুখে দেবে। বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে মাচলঙে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় জড়িত জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।