খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত চার বোন
॥ দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কালাচাদ মহাজন পাড়া ৩০নং বড়মেরুং এলাকার পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত চার বোন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচার পাচ্ছে না। তাদের বাবা মারা গেছে ১০বছর পার হয়েছে। বাবা রেজাউর রহমান মৃত্যুকালে তিন সংসারের ৯ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে যান।
পিতা মারা যাওয়া পর নয় ভাই মিলে বাবার রেখে যাওয়া বিশাল স্থাবর জায়গা সম্পদ ভোগ করছে। বোনেরা ভাইদের কাছে বাবার সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে সম্পদের ভাগ চাইলে নানা সমস্যার কথা বলে। স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ করে কোন সুরাহ পাচ্ছে না। ভাইদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিলে তারা সুকৌশলে আতাত করে কাল ক্ষেপন করে পার করে দেয়।
মৃত রেজাউর রহমানে বড় মেয়ে মোছা: আছিয়া খাতুন (৭০) সাংবাদিককে বলেন, বাবা মারা গেছে ১০বছর হয়। বাবার মারা যাওয়ার সময় অনেক জায়গা সম্পতি রেখে গেছে। আমার ৯ভাই মিলে বাবার সকল সম্পত্তি ভোগ করে খাচ্ছে। আমাদের ৪ বোনকে বাবার রেখে যাওয়া কোন সম্পত্তি দিচ্ছে না। স্থানীয় ভাবে ৮ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ দিয়েছে কিন্তু কোন বিচার পাই নাই। এখন নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ওয়ারিশ পাওয়ার জন্য। মরে যাওয়ার আগে বাবার জায়গায় মরতে চাই।
বেলছড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর (৭৫) বলেন, রেজাউর রহমান মারা গেছে ১০বছর হয়ে গেছে। তিনি মারা যাওয়ার সময় দুই সংসারের ৯ছেলে ও ৪মেয়ে রেখে যান। ৯ছেলে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভোগ করছে। ভাইয়েরা তাদের বোনকে পিতার রেখে সম্পত্তির ওয়ারিশ দিচ্ছে না। এই নিয়ে অনেক বার স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহ হয় নাই।
মৃত রেজাউর রহমানের বড়ছেলে মো: আব্দুল মতিন বলেন, আমার বাবার তিন সংসারের ৯ভাই ৪বোন আছি। এখনও সবার ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বাহির করা হয় নাই। আমার বাবার ছোট সংসারের পাঁচ ভাইয়েরা মিলে সম্পত্তি ভোগ করছে। আমি অনেক বার কথা বলছি বাবার সকল সম্পত্তি তার ছেলে মেয়ে মাঝে ওয়ারিশ অনুযায়ী ভাগ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু ছোট ৫ভাই একমত হয় না।
মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছা: মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, বেলছড়ি এলাকার মৃত রেজাউর রহমানের ৪মেয়ে ও ৯ছেলেদের মধ্যে জটিল সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় বিচার সালিশে জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। ওয়ারিশ অনুযায়ী আইনানুক ব্যবস্থা নিতে হবে।