[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

১৫২

॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের রুমা উপজেলার ৩নং রেমাক্রী প্রাংসা ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম বিরুদ্ধে ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভিজিডি কার্ডের উপকারভোগীদের তালিকায় নাম থাকার পরও এক ছটাকও চাল পাননি বলে জানিয়েছেন অনেকে। তালিকা নাম থাকলেও বরাদ্দকৃত চাউল সুবিধাভোগীদের বিতরণ না করে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা।

জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভিজিডি কার্ডের উপকারভোগী ৩৩৬ জনের মাঝে ১০ মেট্রিক টন ৮০ কেজি চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারমধ্যে ১৮৬ জন সুবিধাভোগীদের মাঝে ৫ মেট্রিক টন সাড়ে ৫শত কেজি বিতরণ করা হয়। বাকী ১৫০ জন সুবিধাভোগী চাল নিতে গেলে তারা না পেয়ে ফেরত চলে আসে। অবশিষ্ট থাকা ৫ মেট্রিকটন ভিজিডি চাউল উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও সেসব চাউল এখন লাপাত্তা।

অভিযোগ আছে, গত মাসে ৩১ জানুয়ারি বুধবার সকালে ইউপি পরিষদে উপকারভোগীদের মাঝে ভিজিডি চাল বিতরণ করা হয়। সেখানে উপকারভোগী ৩৩৬জন ইউপি পরিষদে উপস্থিত হওয়ার মধ্যে ১৮৬জন সুবিধাভোগীদের মাঝে ৫ মেট্রিক টন সাড়ে ৫শত কেজি বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম। পরবর্তীতে থাকা আরো কার্ডধারী সুবিধাভোগী ১৫০জনের মাঝে চাউল বিতরণ করার কথা থাকলেও চাউল শেষ হয়েছে বলে তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। এভাবে দীর্ঘ কয়েকবার ভিজিডি চাল না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা। এসব বিষয়ে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে চাল বিতরণে দাবিও জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউপি পরিষদ থেকে ভিজিডি কার্ডের চাউল নিতে এসেছেন অধিকাংশ সুবিধাভোগীরা। কিন্তু অনেকে চাউল পেলেও অধিকাংশ সুবিধাভোগীরা চাউল না পেয়ে ফেরত চলে যান। বলা আছে নভেম্বর মাসে আতপ ও ডিসেম্বর মাসে সিদ্ধ চাউল বিতরণ করার কথা থাকলেও সেটি অনেকেই পাননি। সেসব উপকারভোগীদের ১৫০টি ভিজিডি কার্ডগুলো ৮শত টাকা করে প্রনলাল নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন চেয়ারম্যান জিরা বম। তবে ১৫০টি কার্ডের চাউল না পাওয়ার বিষয়ে বান্দরবানে ওসমান নামে এক ডিলারকে দোষারোপ করেন তিনি।

উপকারভোগীদের অভিযোগ, বিতরণকালীন ভিজিডি চাউল নভেম্বরের না নিয়ে ডিসেম্বর মাসসহ দুইমাসে একসাথে চাউল নিতে এসেছিলেন অধিকাংশ সুবিধাভোগীরা। কিন্তু সেসব চাউল পাওয়ার দূরের কথা এক ছটাকও না পেয়ে ফেরত এসেছেন তারা। এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বহুবার অবগত করার পরও অবহেলিত ভাবে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা। এসব দুর্নীতির ও লুটপাটের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান সচেতন মহল।
উপকারভোগী বরেন ত্রিপুরা ও সংকাও ম্রো বলেন, ২ মাসের জন্য চাউল নিতে এসেছি কিন্তু কোনো চাল এখনো পাইনি। চাউল দূরের কথা বস্তা পর্যন্ত চোখে দেখিনি।

এবিষয়ে রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিরা বম বলেন, আমার ইউনিয়নের ৩শত ৩৬ জন ভিজিডি কার্ড উপকারভোগী আছে। সেখান থেকে ১৮৬ জনকে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকী আরো ১৫০ জন চাউল প্রনলাল থেকে বুঝিয়ে না পাওয়ার কারণে এখনো উপকারভোগীদের চাল দেওয়া হয়নি।
আত্মসাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান জিরা বলেন, আমি কেন চাল আত্মসাৎ করতে যাবো। চাউল না পেলে আমি কি নিজের পকেট থেকে দিবো!

এসব বিষয়ে কথা হয় প্রণলাল চক্রবর্তী সাথে। তিনি বলেন, আমার কাছে ভিজিডি উপকারভোগীদের কার্ড ৫০টি রয়েছে। চেয়ারম্যান আমার কাছে সেসব কার্ড বিক্রয় করেছে প্রতি কার্ডের আটশ টাকা।
রুমা পলি সঞ্চয় ব্যাংক ম্যানেজার ও ভিজিডি টেক্স কর্মকর্তা দেবব্রত বড়ুয়া বলেন, গত দুই মাস আগেই এই বিষয়টা নিয়ে আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে অবগত করেছিলাম। কোন জায়গা কি সমস্যা জিজ্ঞেস করা হলেও তাদের কোনো উত্তর পাইনি।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, উপকারভোগীরা আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ আসলেই সেসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলে আশ্বাস দেন তিনি।