[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ভূমি ছেড়ে চলে যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে

পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে তানজিলার সংবাদ সম্মেলন

৭১

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে জবর-দখল করে রাখা ৫ একর পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা সদরের ফুড হাউজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৈত্রিক সম্পত্তি সূত্রে মালিক হওয়া তানজিলা আক্তার। এ সময় তার ছোট ভাই মোঃ আবুল হোসেন ও মা রোকেয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে তানজিলা আক্তার বলেন, ১৯৮০-৮১ সালের কবুলিয়তমূলে আমার পিতা মৃত আবুল কাশেম উপজেলার তিনটহরী এলাকার ২০৮নং মানিকছড়ি মৌজার ৩৬২নং হোল্ডিংয়ের ৫ একর সম্পত্তির মালিক থাকাকালিন ২০০২ সালের ১২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তখন আমার বয়স ৪ বছর এবং আমার ছোট ভাই মোঃ আবুল হোসেন’র বয়স মাত্র ১ বছর। পিতার মৃত্যুর পর আমরা সেখানে দীর্ঘ ৫ বছর বসবাস করি। পিতাকে হারিয়ে অভিভাবক শূণ্য হওয়ায় উক্ত ভূমি দেখাশুনার জন্য একজন পাহাড়াদার রেখে তিনটহরী বাজারের পূর্বপার্শে গৃহ নির্মাণ করে বসবাস শুরু করি। তারপরও সেখানে সৃজিত বাগান যাওয়া আসার মাধ্যমে দেখভাল করতাম। কিছুদিন পর আমার ফুফা মিজানুর রহমানকে উক্ত ভূমি দেখাশুনার দায়িত্ব দেই। এর থেকেই আমাদেরকে একাধিকবার কাজল শীল ও মানিক নামের একটি চক্র ভূমি ক্রয় করতে প্রস্তাব দেয়। এতে আমরা দ্বিমত পোষণ করলে তারা নানা ভাবে আমাদের সম্পত্তি জবর-দখল করা ও আমাদেরকে ঘরের মধ্যে পুড়িয়ে মারার হুমকি প্রদর্শন করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, নিরুপায় হয়ে আমরা মানিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ করেও কোনো সুরহা পাইনি। যার ফলে গেল বছরের ২৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ আদালতে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। সেবছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গেলে কাজল শীল ও মানিক নামের চক্রটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে জবর-দখলের উদ্দেশ্য করে সেখানে একটি মন্দির স্থাপন করেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালিন সময়ে বিবাদীগণ উক্ত ভূমিতে মন্দির স্থাপন করার বিষয়টি মানিকছড়ি থানা পুলিশকে অবগত করা হলেও কোনো কাজে আসেনি। বর্তমানে উক্ত ভূমি ছেড়ে চলে যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে চক্রটি। সেই সাথে কোথাও কোনো অভিযোগ না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছে। বর্তমানে আমি, আমার ছোট ভাই ও মা প্রাণ নাশের সংকায় রয়েছি। এমতাবস্থায় পৈত্রিক সম্পতি ফিলে পেতে ও আমাদের যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।