[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামায় এক ছাত্রকে অপহরণ, ১লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি

পুলিশি অভিযানে মহেশখালী থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী আটক

৭৫

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামায় ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়েছে। অপহৃত শিশুর বাবা-মা অপহরণের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারী) দিবাগত রাত ১০টায় লামা থানাকে অবহিত করেন। থানায় অবহিত করার ৬ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলা হতে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণকারী সামশুল আলম (৪০) কে আটক করে লামা থানা পুলিশ।

জানা যায়, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র তানজিমুল হক (১০) কে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নিজ বাড়ি হতে তাদের বাড়িতে আশ্রিত সামশুল আলম অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। না হয় ছেলের মাথা কেটে উপহার পাঠাবে বলে হুমকি দেয়। শিশু তানজিমুল হক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর বাজার এলাকার এহসানুল হক (৪৫) ও শাকেরা বেগম প্রকাশ রহিমা এর ছেলে। অপহরণকারী সামশুল আলম (৪০) কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝেরডেইল বইল্লা পাড়ার নুর আহমদ এর ছেলে। অপহরণকারী সামশুল আলম লামার বনপুর এলাকায় সবজি ও ছনের ব্যবসা করত এবং এখানে সে নিজেকে আবচার নামে পরিচয় দেয়।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, রাতে শিশুটির বাবা-মা থানায় আসার সাথে সাথে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভিযানে নেমে পড়ি। বান্দরবান পুলিশ সুপারের নির্দেশে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জুনাইদ হাসান এর নেতৃত্বে সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলা হতে শিশু তানজিমুল হককে উদ্ধার ও অপহরণকারী সামশুল আলমকে গ্রেফতার করি। শিশুটির মা শাকেরা বেগম প্রকাশ রহিমা বাদী হয়ে অপরহরণের মামলা দায়ের করেছেন। আসামী সামশুল আলমকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে দেয়া হয়েছে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানার মামলা ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

অপহৃত শিশু তানজিমুল হকের মা শাকেরা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার ছেলে-মেয়েদের ঘরে রেখে আমরা স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কাজে বান্দরবানে যাই। বিকেল ৫টায় বাড়িতে ফিরে আসি। এসে দেখি ঘরে আমার ছেলে তানজিমুল হক নেই। সন্ধ্যা ৬টায় আমার নাম্বারে সামশুল আলম প্রকাশ আবচার (০১৮৮৪১৫২০০৩) নাম্বার থেকে ফোন করে বলে সে আমার ছেলেকে নিয়ে গেছে। এই নাম্বারে বিকাশ ও নগদ আছে। বিকাশে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে আমার বাচ্চা দিবেনা। জবাই করে মেরে ফেলবে। কোন উপায় না দেখে আমরা রাত ১০টায় লামা থানায় আসি। বিষয়টি লামা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানালে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং সকাল না হতেই আমার বাচ্চা উদ্ধার করে। একইসাথে আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। পুলিশের এমন সহযোগিতা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। পুলিশ সহায়তা না করলে আমি বাচ্চা পেতাম না। জনবান্ধব ওসি শামীম শেখ কে ধন্যবাদ যে আমার বুকে সন্তানকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আমার ৩ ছেলে ১ মেয়ে।

এদিকে থানায় অবহিত করার ৬ ঘন্টার মধ্যে শিশু উদ্ধারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হতে শতশত সাধারণ মানুষ বাংলাদেশ পুলিশ ও লামা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানায়।