[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে ওয়ার্ল্ড পীস্’র মানববন্ধনঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফুল বিঝু‘র র‌্যালী ও মাইনী নদীতে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবীকে পূজাবাঘাইছড়িতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কাচালং নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিঝু শুরুপাহাড়ের বিঝু মেলাতে পাঁজন তরকারি খুবই জনপ্রিয়দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ব-বৃহৎ কো-অপারেটিভ ‘মৌচাকের’ ৩০ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিতবান্দরবানের আলীকদমে মাতামুহুরী ও তৈন খালে ফুল ভাসিয়ে বিষু-বিজু উৎসব শুরুবান্দরবানে গত তিন মাসে অপহৃত হয়েছে ৪৯জন, আতঙ্কে স্থানীয়রাপাহাড়ের সময় অনলাইন পোর্টাল আগামী ৭২-৯৬ ঘন্টা বন্ধ থাকবে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

তীব্র শীতে কাঁপছে পাহাড়ের মানুষ: নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা

৭০

॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥

পাহাড়ে তীব্র শীতে কাঁপছে সাধারণ মানুষ। ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাঁপছে পার্বত্য চট্টগ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমিক, শিক্ষার্থী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।

গত বুধবার রাত থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির। গত ২দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো রাজস্থলী উপজেলা। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি  ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে প্রচ- শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা আর  ঠাণ্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এখানে গবাদিপশুরাও  ঠাণ্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। এ প্রাণীগুলো শীতজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের ক্ষেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশির বিন্দু। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা। বিদ্যালয় মুখি শিক্ষার্থীরা আগুন পোহাচ্ছে লাকড়ী জ্বালিয়ে। তবে গ্রামের অন্যান্য সময়ের চেয়ে লোক সমাগম কম। এমনকি হাটবাজারে পুরাতন কাপড়ের বাজারেও ক্রেতার উপস্থিতি নাই।

বাঙালহালিয়া আগা পাড়া এলাকার মংসিহলা মারমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠা-া বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। আগে দিনে ৬শ টাকা মুজুরী আয় হত। গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারিনাই টাকা আয় হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, একদিকে আয় কম, অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।রাজস্থলী বাজারের টমটম চালক জমির উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। লাইট জ্বালে গাড়ি চালাচ্ছি। বিকাল ৪টার পর ঘন কুয়াশা শুরু হয়। সন্ধ্যা হইলে হেডলাইট জ্বালেও কিছুই দেখা যায় না।

এদিকে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় সময় দেখা যায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের  ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না।

গতকয়েক দিন আগে শীত শুরুর প্রারম্ভে উপজেলা প্রশাসন পাহাড়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। পর্যাপ্ত পরিমান শীতবস্ত্র না থাকায় সব পাড়ায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। শীত নিবারণের জন্য সরকার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলে সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে বলে জানান স্থানীয়রা।