[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পূর্ণ মন্ত্রীর সম্মান হোক বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারী পাহাড়ের সন্তান

দীপংকর তালুকদার আওয়ামীলীগে পাহাড়ের প্রতীক পার্বত্য চট্টগ্রামের গর্ব

২৫০
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
সাত জানুয়ারী-২৪ইং অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ রাঙ্গামাটি আসন থেকে বিপুল ভোটে দীপংকর তালুকদার ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাহসী এ নেতাই পেরেছেন সকল বাঁধার উর্দ্ধে থেকে প্রত্যেক খাতে উন্নয়ন করে যেতে। তাই এবারও তিনি নির্বাচিত হওয়ায় জেলা আওয়ামীলীগ সহ অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শান্তিপ্রিয় মানুষ তাঁর জন্য পূর্ণমন্ত্রীর সম্মান হোক বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারী পাহাড়ের এ সন্তানের জন্য এমনই দাবি করা হচ্ছে।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দেখা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের একজন সক্রিয় সদস্য। এই নেতা ১৯৮৬ সালে প্রথমে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরে ১৯৯৬সালে সভাপতির দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে আজ অবধি দৃঢ়তার সাথেই দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। দেশের বৃহত্তর এ পাহাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার উপজেলা সহ প্রত্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের কমিটি গঠন করে রীতিমত তার পরিধি হয়ে যায় বৃহৎ। পাশাপাশি অন্য দুই জেলাতেও দলের কার্যক্রম বাড়াতে হাত বাড়িয়ে দেন। তাই রাজনৈতিক জীবনে যত ঝড় ছিলনা কেন কোন সময়ই ন্যুয়ে পড়েছেন বলে মনে হয়নি। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার ঘটনায় অন্যান্যদের মধ্যে তিনিও রাজপথের অন্যতম প্রতিবাদকারী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অদ্বিতীয় সন্তান।
দেখা যায়, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির এক সময়ের সার্বিক পরিবেশ ছিল সব দিকে যেন ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ছিল অনিশ্চিত জীবন নিয়ে পাহাড়ের খাঁদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকার মতো। সিনিয়র নেতাদের নিয়ে এর মধ্যেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে উপজেলা পর্যায়েও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে নিজ দলের কার্যক্রম চালিয়েছেন। এভাবে দীর্ঘ সময় পর অবশেষ ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দুরদর্শীতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রধান সন্তু লারমার সাথে চুক্তির পর দলের কার্যক্রম আরো দ্রুত বেড়ে যায়। সাথে কাটতে থাকে অন্ধকারাচ্ছ দিন। জেলা সহ প্রত্যেক উপজেলা এবং ইউনিয়নের দলীয় কার্যক্রম আরো বাড়তে থাকে। সকলের উন্নয়নে ধীরে ধীরে যেন আলোর সন্ধান খুঁজে পান সবক্ষেত্রে। জেলা আওয়ামীলীগের অংগ-সংগঠনের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও যে যার মতো করে সুবিধার ছোঁয়াও পেয়েছেন এখনও পাচ্ছেন। কিছুতে নিজের অপকটে ভুল আবার দলের নেতা কারো কারো কারনেও রাজনৈতিক জীবনের কিছু ক্ষত এখন দাগ টানছে।
দীপংকর তালুকদার অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে রাজনীতির এবং মানুষের উন্নয়নে এগুতে থাকলেও কোন কোন সময় মহা মহা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন যা অন্য দুই জেলার চেয়েও অনেক অনেক বেশী। সব প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও তাঁকে ন্যুয়ে পড়তেও দেখা যায়নি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে রাজপথে থেকে সাহসিকতার পরিচয় দেন পাহাড়ের এই সন্তান। রাঙ্গামাটি থেকে বেশ ক’বার নির্বাচিত হন এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন সহ ২০০৯-১৪ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে দুরদর্শীতার উদ্যোগ রেখেছিলেন তার সঠিক বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন দীপংকর তালুকদার।
এবার সহ ৫ম বারের মত সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন দীপংকর তালুকদার। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটিকে মাদার ডিস্ট্রিক্ট বলা হয়। দলের এবং এলাকার উন্নয়নে তাঁর রাজনৈতিক দুরদর্শীতা উন্নয়ন ও শান্তিতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাঁর উপস্থিতি মজবুত রাখাও দরকার। তাই দলীয় এবং সমমনা অন্যান্য দলের রাজনৈতিক সচেতন মহলও মনে করেন এবার পূর্ণ মন্ত্রীর সম্মান হোক বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারী পাহাড়ের সন্তান দীপংকর তালুকদার, কেননা তিনি আওয়ামীলীগে পাহাড়ের প্রতীক পার্বত্য চট্টগ্রামের গর্ব।