কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের প্রচারণা: হাতি হত্যা সর্বোচ্চ শাস্তি ৭বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ জরিমানা
॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
“হাতি করলে সংরক্ষণ রক্ষা পাবে সুন্দর বন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কাপ্তাইয়ে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা পযন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মাইকিং করা হয়।
কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। মাইকিং মাধ্যমে জরুরী বার্তা জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলা পাহাড়ী বনাঞ্চল হাতির নিরাপদ আবাস্থল। বিগত কয়েক বছর যাবৎ ধরে এসব বনাঞ্চলে নিরাপদে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে হাতি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। সরকার কর্তৃক হাতি সার্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই পাহাড়ী বনাঞ্চলে হাতির বিচরণ এবং বন্যহাতি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবেনা। যেমন বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ফাঁদ, দেশী বা বিদেশী অস্ত্র দ্বারা অন্যকোন উপায়ে বন্যহাতি মারা যাবেনা।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপদপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যা দ-নীয় অপরাধ। আইননুযায়ী হাতি হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭বছর কারাদ- ১০লাখ টাকা জরিমানা। কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, আমরা সচেতনতামূলক মাইকিং করে সাধারণ লোকজনকে সচেতন করছি। তিনি আরোও জানান, বন্যহাতি দ্বারা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি কোন সমস্য হলে বা কোন মানুষ আহত কিংবা নিহত হলে সরকার কর্তৃক নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান। কোন কারণে হাতিকে উত্যক্ত করা যাবেনা।
প্রচারণায় কাপ্তাই রেঞ্জের ব্যাংঙছড়ি বিট কর্মকর্তা মহি উদ্দিন চৌধুরী মিষু সহ বন বিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।