আলীকদমে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভা
॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম ॥
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০নং সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং,নয়াপাড়া, আলীকদম সদর ইউনিয়নে নির্বাচনী জনসভায় নৌকা প্রতীকের জন্য আবারও ভোট চেয়ে বলেন,আপনারা এক দিন কষ্ট করুন। আমি আপনাদের জন্য আগামী ৫ বছর কষ্ট করে যাব। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় নৌকায় মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আলীকদম উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আলীকদম উপজেলায় বীর বাহাদুর নির্বাচনী জনসভা শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বীর বাহাদুর তিন ইউনিয়নে নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশ্য বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ৬ বার এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীও হয়েছি এই সময় জনগনের জন্য কতটুকু করেছি সেটা সবার জানা। শিক্ষা, চিকিৎসা- সেবা, যোগাযোগ,উন্নয়ন সহ সব দিকে ব্যাপক কাজ করেছি। হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজই সাক্ষী দেবে,উন্নয়নের কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়ি জনপদের মানুষকে কত ভালবাসেন।
তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি উন্নয়নের প্রমাণ পান, তা হলে আর দেরী নয়,আসুন উন্নয়নের অগ্রযাত্রার শরীক হই। একই সাথে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী ৭ জানুয়ারী নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে অনুরোধ করেন বীর বাহাদুর। যাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। যেন পাহাড়ের সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বন্ধন অটুুট থাকে। শান্তিতে পাহাড়ে বসবাস করতে পারে সকলে।
নির্বাচনী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহভাপতি কাজল দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দীন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দুংড়ি মং মার্মা,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অংশেথোয়াই মার্মা,সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দীন, নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, নয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফোগ্য মার্মাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনীয় জনসভায় হাজার হাজার জনসাধারণের অংশগ্রহণে অবশেষে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।