[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লুটেরার দল আচমকা গন্ডোগোল আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হগ্গল হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইয়াছে, চিন্তায় আছি….দিন-মাস বছর ধরেই অবৈধ দখলে সংকুচিত কাপ্তাই হ্রদ, মুক্ত করতে হবেদেশে বর্তমানে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে: উপদেষ্টা আলী ইমামমানুষের জীবন-কর্ম জ্ঞান, মৃত্যু, পুনঃর্জন্ম সবকিছুই ন্যাচারাল: পার্বত্য উপদেষ্টাগৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত প্রধান ঘটনাই হলো ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের আগুনে এক পরিবার খোলা আকাশের নীচেবান্দরবানের লামায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাটহাজারী যুবকের মৃত্যুখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রাবান্দরবানের রুমায় অগ্নিকান্ডে এক জুমিয়া পরিবারের ঘর ভষ্মিভুতরাঙ্গামাটির লংগদুতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে নানা আয়োজনে “শুভ বড়দিন” উদযাপিত

১০৪

॥ আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ॥

ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানের পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস। এদিনে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা সকাল থেকে প্রতিটি গীর্জায় সমাবেত হয়ে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন। ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন শুরু হয়।

জেলা শহরে ফারুক পাড়া, লাইমি পাড়া, হাতিভাঙ্গা পাড়া, কানা পাড়া, গেৎসমনি পাড়া, মুন্নমপাড়া, বেথেলপাড়া সহ গ্রামে গ্রামে গীর্জাগুলোতে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা শিশু-নারী ও পুরুষেরা সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হয়। গির্জায় ধর্মোপাসনা, ভোজ, বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, মালা, মিসলটো, যিশুর জন্মদৃশ্য, এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনী আধুনিককালে বড়দিন উৎসব উদ্যাপনের চিত্র তুলে ধরা হয়। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় মঙ্গল কামনা করা হয়। রীতি অনুযায়ী দিনের প্রথম প্রহরে বড়দিনের মূল আয়োজনের সূচনা হয় যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে। নেটিভিটি চার্চে ল্যাটিন ধর্মগুরু নেতৃত্বে হয় বিশেষ প্রার্থনা। আগামী দিনের সুখের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন। প্রার্থনায় আত্মশুদ্ধি মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখ শান্তির প্রত্যাশা করেন সকলে।

খ্রিষ্টানদের ধর্মাবলম্বীদের মতে, বড়দিন হলো মহামতি যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন। ২ হাজার ১৯ বছর পূর্বের এই দিনেই জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম হয় শিশু যিশুর। সেই থেকেই দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেব আখ্যায়িত করা হয়। এরপরে যুগের পর যুগ ধরে পালন করা হয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ক্রিসমাস’ বা ‘বড়দিন’।

বান্দরবান জেলায় খিয়াং, বম, পাংখু, লুসাই, ম্রো, খুমি, ত্রিপুরাসহ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা গ্রামে গ্রামে ধর্মীয় অন্যতম উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস উদযাপন করছেন। এদিনে গির্জায় গুলোতে ঢোল ও গান বাজিয়ে বড়দিনে ধর্মীয় গান পরিবেশনা করা হয়। গানের সুরে সুরে মেতে উঠেন খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা। এর কারণ এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম হয় শিশু যিশুর। এরপর থেকে যিশুর খ্রিষ্টের উৎসর্গ করতে প্রতিবছর এই ধর্মীয় গান পরিবেশন করা হয়। সবশেষে গীর্জায় আবারো ধর্মীয় গান পরিবেশন করা হয় যাতে করে ছোট বড় সকলে সুষ্ঠুভাবে নিজ ঘরে ফিরে যেতে পারেন।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন, বছরের একবার খ্রিস্টানদের বড়দিন বা ক্রিসমাস উদযাপন করা হয়। এদিনকে ঘিরে শহরে কিংবা বিভিন্ন স্থানে থাকা মানুষজন গ্রামে এসে অবস্থান করেন। দিনটিকে ঘিরে গ্রাম ও গির্জায়গুলোতে ফুল,বেলুনসহ নানা রঙ বেরঙ্গে সাজানো হয়। বড়দিনে ছোট থেকে বড় নিজেদের সংস্কৃতি পোশাক পরিধান করে গির্জাতগুলোতে অংশ নেন। গির্জায় ধর্মগুরু প্রেসচার্চের পাষ্টর দেশের সুখ শান্তির কামনা করেন।

সুয়ালক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লালহাই বম বলেন, বছরের শেষে দিকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উদযাপন করা হয়। এদিনকে ঘিরে গির্জায় গুলোতে সবাই মিলিত হন প্রার্থনা জন্য। দেশ ও জাতির মঙ্গলের কামনায় বিশেষ প্রার্থনায় পাঠ করান গীর্জায় ধর্মগুরু প্রেসচার্চের পাষ্টর।

গেৎসমনি খ্রিষ্টিয়ানের প্রেসচার্চের পাষ্টর জাউ থাং বম বলেন, জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম হয় শিশু যিশুর। এরপর থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছরের ২৫ ডিসেম্বরকে বড়দিন হিসেবে পালন করা হয়। আগামীতেও বড়দিন উদযাপন যুগের পর যুগ পালন করা হবে।