হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাথে মতবিনিমিয়
চুক্তি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে শুধুমাত্র সম্পর্কের অবনতির কারনে: দীপংকর তালুকদার
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
২৯৯ রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিপদগ্রস্ত জনগনের পাশে সবসময়ই থাকে। মহামারি করোনা-১৯ এর সময় প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের পাশে থেকে খাদ্যের জোগান সহ নানান ভাবে সহযোগীতা করেছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ৪র্থ ডোজ পর্যন্ত করোনার টিকা দিয়েছে। এটি শুধুমাত্র শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে শুধুমাত্র সর্ম্পকের অবনতির কারনে। খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বড় দিন উপলক্ষ্যে শনিবার (২৩ডিসেম্বর) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাথে এক মতবিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিষদের সভাপতি অরূপ মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি পলাশ কুসুম চাকমা, ইন্দ্র দত্ত তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ইন্টু মনি তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীরণ বড়ুয়া, প্রচার প্রকাশনা বিষয় সম্পাদক ও সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক-প্রকাশক মিলটন বড়ুয়া। এছাড়া সভায় জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সম্ভবত ৯০দশকের দিকে এই ঐক্য পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, নানান কারনে পরে দ্বায়িত্ব থেকে সরে আসি। বর্তমানে এর কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। আন্দোলনের নামে বিএনপি মানুষ মেরে যাচ্ছে। মানুষ হত্যা করে গনতন্ত্রের কথা বলে এ কেমন রাজনীতি। সংসদে প্রত্যেক সদস্য কথা বলবেই মতবিরোধও থাকবে সংসদ থেকে ওয়ার্ক আউট হবে কিন্ত এটিকে স্থায়ী করে বসলেতো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। উচ্চ পর্যায়ের লেবেলে সম্পর্কের অবনতির ঘাটতি থাকায় বিএনপিতো সংসদীয় গনতন্ত্রকেও মানতে রাজি নয়।
প্রধান অতিথি আরো বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামেও চুক্তি বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হয়েছে শুধুমাত্র সম্পর্কের অবনতির কারনে। ২৬ বছর হয়েছে চুক্তি এখনো পুরো বাস্তবায়ন হয়নি সবদিকের সম্পর্কের উন্নয়ন হলে চুক্তি বাস্তবায়নে আগামী ৫ বছরে আরো এগুবে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতেও উন্নয়ন করা হয়েছে। ১ বছরে ৩৪টি বিদ্যালয় জাতীয় করণ করা হয়েছে যা দেশের অন্য কোন জেলাতেও হয় নি। নানিয়ারচর ব্রীজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিত্রশিল্পী চুনি লালের নামে ব্রীজের নাম করণ করায় এখানে অনেকের গা-জ্বালাও হয়েছে। সরকার এসব জাতীয় সুনাম অর্জনকারীদের সম্মানে অনেক কিছু করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলে। দেখুন তালের রসে খেজুরের মিঠা দিলে পিঠা ভালো হয় তবে চিনি দিলেতো বরবাদ। পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় গেলে বন্ধুপরিজন বা নেতাদের সাথে দেখা হলে ও-দা গম আগছ বা ভালো আছেন? জবাবে বলেন, ওহ্ চাবত আগি চাবত আগি তার মানে খুব চাপে আছি চাপে আছি। অর্থাৎ সেখানে গুড মর্নিংও নাই, আবার গুড ইভিনিংও নাই এই অবস্থা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরেই পার্বত্য রাঙ্গামাটির সকল উপজেলার মানুষ ভালো আছে চাবতও নেই আবার চাপেও নাই।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমাদেরও সেরকম চাওয়া পাওয়া আপতত নেই। আমাদের শিক্ষিত সন্তানদের চাকুরিতে সুযোগ করে দিলে আমরা খুশি। টাকা দিয়ে সন্তানদের চাকুরি দেওয়ার মত অবস্থাও আমাদের নেই। নেতৃবৃন্দ আগামী ৭ জানুয়ারী দীপংকর তালুকদারের পক্ষে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন। সেই সাথে সকলকেই ভোটে অংশ গ্রহন করার জন্য আহ্বান করেন।