[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে বিজয় মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুলিশ প্রশাসনের সংবর্ধনা

৭৯

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥

খাগড়াছড়িতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

শুরুতে খাগড়াছড়ি জেলার ৪ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। পরে পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুভূতি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা ব্যক্ত করেন ।

অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক যে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হয়, সেই অপারেশনের প্রথম লক্ষ্য ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করা। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঘিরে ফেলে তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রথম বুলেট নিক্ষিপ্ত হয় চামেলিবাগ পুলিশ ব্যারিকেড থেকে, যার ফলে নিহত হন দুইজন পাকিস্তানি সেনা। পুলিশদের অস্ত্র ও গোলা বারুদ ফুরিয়ে গেলে হানাদার বাহিনী তুমুল গতিতে আক্রমণ শুরু করে। পাকিস্তানি সেনারা সারারাত গুলি ও কামানের গোলা বর্ষণ করে বহু পুলিশ হত্যা করে। এখান থেকেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এসময় জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত মুক্তিযুদ্ধাদের শারীরিক ও পারিবারিক খোঁজখবর নেন এবং খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে আছেন এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ তফিকুল আলম ছাড়াও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।