পানছড়িতে চার নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে
মানিকছড়িতে ইউপিডিএফ’র সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সংগঠনের চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ডাকা সকাল-সন্ধা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে।
অবরোধের সমর্থনে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পিচলাতলা এলাকায় একটি সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেয় সমর্থনকারীরা। এছাড়াও উপজেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের কলেজিয়েট স্কুল সংলগ্ন, ধর্মঘর, জামতলা ও পিচলাতলা এলাকায় রাস্তায় টায়ার ও কাঁঠ-বাশ পুড়িয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে অবরোধের সমর্থনকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় তারা। এরপরই সড়কে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল আরো জোরদার করা হয়। এছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনী স্কোয়াড দিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দেখা গেছে। তবে সড়কে দূর পাল্লার কোনো যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের ফলে দিনভর ঢিলেঢালা ভাবে অবরোধ পালিত হয়েছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকবাল উদ্দিন জানান, সকাল বেলা খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন দিয়ে অবরোধ পালনের চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে তা স্বাভাবিক করে। দিনভর কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবরোধ পালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে পানছড়ির অনিলপাড়া এলাকায় দুর্বত্তের গুলিতে নিহত হয় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এর সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা আরো ৩ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।