[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে ওয়ার্ল্ড পীস্’র মানববন্ধনঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফুল বিঝু‘র র‌্যালী ও মাইনী নদীতে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবীকে পূজাবাঘাইছড়িতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কাচালং নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিঝু শুরুপাহাড়ের বিঝু মেলাতে পাঁজন তরকারি খুবই জনপ্রিয়দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ব-বৃহৎ কো-অপারেটিভ ‘মৌচাকের’ ৩০ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিতবান্দরবানের আলীকদমে মাতামুহুরী ও তৈন খালে ফুল ভাসিয়ে বিষু-বিজু উৎসব শুরুবান্দরবানে গত তিন মাসে অপহৃত হয়েছে ৪৯জন, আতঙ্কে স্থানীয়রাপাহাড়ের সময় অনলাইন পোর্টাল আগামী ৭২-৯৬ ঘন্টা বন্ধ থাকবে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লাল সবুজের পতাকা বিক্রি করে চলে লাল মিয়ার সংসার

৭৭

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥

লাল সবুজের পতাকাবেষ্টিত দন্ড ধরে ক্রেতার আশায় ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন লাল মিয়া। এভাবে ২ যুগ ধরে পতাকা বিক্রি করেই চলছে তার সংসার। বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিখাদ দেশপ্রেম বুকে লালন করে দেশের জাতীয় পতাকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।

বিজয়ের মাস উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার পৌর এলাকায় ও তার আশেপাশে বিজয় উল্লাসে শোভিত লাল সবুজের পতাকা বিক্রির জন্য এদিক সেদিক চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। সবুজ বেষ্টিত লাল বৃত্তে লাল মিয়া নামটি যেন মিশে গেল তার পেশার সাথে। নামটি কে রেখেছেন জানতে চাইলেই এক গাল হেসে জবাব দিলেন বাবা-মা ই শখ করে রেখেছে।

লাল মিয়ার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। জীবনের প্রথম পেশায় ১৫ বছর ধরে জাতীয় পত্রিকা বিক্রি করতেন তিনি। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি, কালের বিবর্তনের ফলে পেশা পাল্টিয়ে দেশর জাতীয় পতাকা ও বিজয় দিবস লিখিত ফিতা বিক্রি শুরু করেন ২ যুগ ধরে। তার ৫ টি মেয়ে সহ চলছে পুরো সংসার। দুইজনকে পাত্রস্থ করেছেন। বাকিরা পড়াশোনা করছে। তিনি মাটিরাঙ্গা বাজারের মূল সড়কের পাশে অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করেন। গত শুক্রবার দেখা হয় পঞ্চান্ন বছর বয়সী লাল মিয়ার সাথে। দীর্ঘ আলাপচারিতায় বেশ সাবলীল ভাবেই নিজের জীবন কাহিনী তুলে ধরেন তিনি। নিজেকে সুখী মানুষ দাবি করে তিনি বলেন, এ পেশাটা আমি পছন্দ করি মনেপ্রাণে পেশাকে বুকে ধারন করি বলেই বিক্রি ভালো হয় । তা দিয়ে চলে যায় সংসার। দেশের জাতীয় দিবস ছাড়াও বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সময় বিভিন্ন এলাকায় পতাকা বিক্রি করে আসছেন তিনি।

লাল মিয়া জানান, বড় আকারের একটি পতাকা ২শ থেকে ৩শ টাকা, মাঝারি আকারের পতাকা ১৫০ থেকে ২শ টাকা, ছোট আকারের পতাকা আকারভেদে ২০ টাকা থেকে ১শ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়াও ছোট আকারের পতাকা ১০ টাকা এবং হেড বেল্ট ও হ্যান্ড বেল্ট প্রতিটি ১০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। দিনপ্রতি দুই হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। বিক্রির অর্ধেক ব্যবসা হয় বলে তিনি জানান।

পতাকা কিনতে আসা মাটিরাঙ্গায় ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ আল-আমীন জানান, ছোট ভাইয়ের আবদার বিজয় দিবসে পতাকা কিনে দেবার। তাই আবদার পুরণ করতে এক জোড়া পতাকা কিনলাম। পতাকা কিনতে আসা রমজান আলী বলেন, বছরের অন্য সময় জাতীয় পতাকা কেনার প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ থাকে না। ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস ও বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে মানুষ জাতীয় পতাকা কেনে। বিজয় দিবসের মনোগ্রামযুক্ত ফিতা কিনলাম। সাথে একটি ছোট পতাকা ও কাল আরো কয়েকটা কিনতে হবে।

মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া বলেন, পতাকা আমাদের বিজয়ের কথা বলে, আমাদের অস্থিত্বের কথা বলে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে অর্জিত হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা, এসেছে বিজয়। তাই এই বিজয়ের মাসে লাল মিয়ার পতাকা বিক্রি করে জীবিকা অর্জন তে সাধুবাদ জানাই।