ডিজিটাল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার সৃষ্টি অংসুইপ্রু চৌধুরী
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ছাত্রলীগই অনুপ্রেরণা এবং রাজপথের সাহস ছিল
॥ তুফান চাকমা, নানিয়ারচর ॥
৭৫’এর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের অবস্থা যে পরিণতি ছিল তখনকার সেই দুঃসময়ে ছাত্রলীগরাই আওয়ামী লীগের অনুপ্রেরণা এবং সাহস ছিলো। ১৯৮১ সালের শেখ হাসিনা যখন দেশে প্রত্যাবর্তন করে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া, নেত্রীকে গ্রহণ করা সহ রাজপথ দখল করেছিল এই ছাত্রলীগ। এগুলো এখন স্মরণীয়। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবন এর সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আয়োজনে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্বত্য রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার যৌথ সমন্বয়ে ক্যাম্পেইন এডভোকেসী প্রোগ্রাম (CAP) এর উদ্যোগে শেখ হাসিনাতেই আস্থা শীর্ষক অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কহিনুর আক্তার রাখী এর সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান যুক্ত ছিলেন।
এসময় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন তারা। এছাড়াও অফলাইন অনলাইনে ছাত্রলীগের প্রত্যকটা নেতাকর্মীদের এক্টিভিটি বাড়িয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরতে এবং বিএনপির অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে নির্দেশনা দেন। রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরা সহ রাঙ্গামাটির জেলা আওতাধীন ১৫টি ইউনিট ও খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের ৯টি ইউনিট থেকে ৫জন করে বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্ধরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যদি সুসংগঠিত না থাকতো-সংগঠনের যদি অস্তিত্ব না থাকতো বাংলাদেশ এই পর্যন্ত আশা কঠিন ছিল বলে আমার মনে হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শক্তি আসে বলেই আজকে আমাদের নেত্রী বাংলাদেশকে এই পজিশনে আনতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ ভূমিকা একটা ইতিহাস, জাতি ও সংগঠন এর দুঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগই ছিল আমাদের অনুপ্রেরণা এবং সাহস। আজকে ১৫বছর যাবৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছি। যেকোনো কর্মসূচি দিলে মানুষের অভাব নাই। কিন্তু যে সময়ে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, তত্ত্বাবধায়ক জোট সরকার এবং খালেদা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি তখন আমার মনে হই রাজপথে থাকার মতো আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগণ্য ছিল। তখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং বেশি সংখ্যক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই আমাদের সাথেই ছিল। তিনি আরও বলেন, আজকে যে উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে সারাদেশব্যাপী প্রোগ্রাম শুরু করেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যথোপযোগী। ডিজিটাল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার সৃষ্টি। জামাত-বিএনপির নেতা কর্মীরা যেভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালায় আমরা চাইলেই তা রোধ করতে পারি।
রাঙ্গামাটির আওতাধীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। এই নির্বাচনে জননেতা দীপংকর তালুকদারকে অবশ্যই বিজয়ী করতে হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে যেভাবে নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রত্যকটা কেন্দ্রে ২০জন করে ছাত্রলীগের কর্মী যাতে কমিটিতে সম্পৃক্ত থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যকটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে একেকটা ছাত্রলীগ কর্মীসভা করার জন্য অনুরোধ জানান। যাতে করে ছাত্রলীগের নির্বাচন কর্মকাণ্ডে এক্টিভ ভূমিকা পালন করে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই এই রাঙ্গামাটি আসন থেকে দীপংকর তালুকদার’কে জয়ী করতে পারবো পাশাপাশি আমরা সাহস করে বলতে পারি আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।