পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬বছর পুর্তি পালন
ইচ্ছে হলেও বলতে পারছি না, কিছু কিছু কথা বুঝে নিতে হয়: দীপংকর তালুকদার
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপুর্ণ অবস্থানে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। জনগন শুধু সকল বাহিনীর উপর ভরসা করলে হবে না সহযোগীতার পাশে থাকতে হবে। কিছু হয় নাই থেকে উনারা বলছেন ২৫শতাংশ বাস্তাবায়ন হয়েছে। শনিবার (২ডিসেম্বর) বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬তম বর্ষপুর্তি পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার, এমপি এসব কথা বলেছেন।
রাঙ্গামটি জেলা পরিষদের আয়োজনে বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকায় পৌরসভা প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬তম বর্ষপুর্তি পালন অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্ণেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, বিপিএম (বার), পিএসসি, কমান্ডার বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টর, লেঃ কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, পিএসসি, ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার রাঙ্গামাটি ৩০৫ পদাতিক ডিভিশন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অংসু সাইন চৌধুরী, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সবির কুমার চাকমা, আমেনা বেগম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আফগানিস্থানেও অনেক মার্কিন সৈন্য ছিল যখন ফিরে এসছে তখন আফগানিস্থানের তালেবানরা তাতে বিজয় বলে উল্লেখ করেন। ১১তম সংসদ যখন বিলুপ্ত হয়নি তখন আমি এখনো এমপি তাই স্ব-স্ব পদগুলোতেও রয়েছি। তফসিল ঘোষণা করেছে সিইসি মনোনয়নও জমা করেছি তাই কিছু বললে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন হবে এই ভয়ে আমিও তেমন কিছু বলতে চাইনা। আমার অনেক বন্ধুরাও কিন্তু সিইসির নোটিশ পেয়েছেন। আমার অনেক কিছু বলার ছিল তাই ইচ্ছে হলেও বলতে পারছি না। সেজন্য বলছি কিছু কিছু কথা বুঝে নিতে হয় সেতো মুখে বলা যায় না।
জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কারনে জেলা পরিষদগুলোকে শক্তিশালী করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। চুক্রি কারনে মানুষ তার সুফল ভোগ করছেন। আগামীতেও এসব অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথি বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, চাকরির সুবাধে অস্ত্র জমাদানের সেদিন আমিও খাগড়াছড়ি ষ্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলাম। চুক্তির সুফল আপনারা পাচ্ছেন। যে সব ধারা অবাস্তবায়িত রয়েছে তা আপনারা সবাই মিলে মিশে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, চুক্তির পুর্বে এ অঞ্চলের পরিস্থিতি কি ছিল সবাই জানেন। সংঘাত ছাড়াই সুন্দর আলোচনার মধ্যে একটি চুক্তি করা হয়েছে। আমার চাকুরি জীবন শুরু হয় রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর থেকে, তাই আমার নিজেরও একটা টান রয়েছে এখানকার জন্য। সেনা বাহিনী স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে দেশের মানুষের কল্যাণেই কাজ করে আসছে এবং এটি চলমানই থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেছেন, আমাদের অনেককেও প্রান দিতে হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নে সমালোচনা আর গালিগালাজ করে সমস্যার সমাধান হবে না। পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের কার্যক্রম আছে বলেই আমরাও আছি। চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, সন্তু লারমাকে শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ যে সেদিন তিনি পিছ পা হননি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে যোগাযোগ ক্ষেত্রেও উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। আপনারাও আমাদের সাথে থাকুন আমরা উন্নয়নের ট্রেনেই আছি।
এর আগে আদালত চত্তর থেকে একটি শান্তি র্যালী বের করা হয়। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ সরকারি বেসরকারি প্রশাসনের পদস্ত কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সামাজিক সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ র্যালীতে অংশ গ্রহন করেন।