উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় এবার বিপর্যয়
বান্দরবানে এইচএসসি পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ
॥ আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ॥
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবছর জেলা বান্দরবানের গড় পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৩৪। গতবার এই হার ছিল ৮১ দশমিক ২০ শতাংশ । এ বছর পাসের হার কমেছে ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে বিজ্ঞান বিভাগে ১৮ জন, ব্যবসায় ১০জন ও মানবিকের ২জনসহ মোট ৩০জন জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথমার্ধের এগিয়ে রয়েছে লামা কোয়ান্টাম কসমো কলেজ। বিজ্ঞান বিভাগে ২৪ জন ও মানবিক বিভাগে ৪জন সহ মোট ২৮ জনের জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
জেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়া তথ্য মতে, বান্দরবানের চট্টগ্রাম বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৪ হাজার ৪২ জন শিক্ষার্থীর। তার মধ্যে জিপিএ -৫ পেয়েছেন ৯০ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১৭ জন। সে হিসেবে এ বছর কমে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০ জন। অপরদিকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৬৪ জন, মানবিক বিভাগে ১৫৮৫জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৬৭৩ জন শিক্ষার্থী যার পাশের হার সংখ্যা ৬৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত বছর পাশের সংখ্যা ছিল ৭৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এবছরে পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
জানা গেছে, বান্দরবান জেলায় সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে কলেজ আছে ১৭টি। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ৪টি, লামায় ৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২টি, রুমায় ১টি, থানচিতে ১টি এবং রোয়াংছড়িতে ১টি কলেজ আছে। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কোনো কলেজ নেই।
বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসেইনী জানান, গতবছরে আংশিক সিলেবাস ছিল, এই বছর সম্পূর্ণ সিলেবাসে পাঠদান করতে হয়েছে। তাই গতবছরের তুলনায় এবারে পাশে হার কিছুটা কমেছে। তাছাড়া অন্যান্য জেলায় যে সুযোগ- সুবিধা পেয়েছে, সে হিসেবে জেলাটি কিছুটা বঞ্চিত ছিল। তাছাড়া মূল কারণ হচ্ছে অনেকে বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন নাই এবং বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট অত্যান্ত দুর্বল। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট মাধ্যমে লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও জানান, প্রতিবারে বান্দরবানে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও লামা কোয়ান্টাম স্কুল এন্ড কলেজ-এর রেজাল্ট ভালো হওয়ার কারণ হচ্ছে, অভিভাবক থেকে শুরু করে তাদের গাইডল্যান্ড ভালো। আগামীতে আরো কিভাবে ভালো ফলাফল করা যায়, ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কোন কলেজে কিভাবে পাঠদান করলে রেজাল্ট ভালো হবে, সেই মোতবেক নির্দেশনা দেবো বলে আশ্বাস করেন এ কর্মকর্তা।