[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বৃষ্টি ও কাঁদাপানি মাড়িয়ে ঋতুপর্ণার অসুস্থ মাকে দেখে গেলেন রিজভীখাগড়াছড়ির মহালছড়িতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধাররোয়াংছড়িতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছেকাপ্তাইয়ে বন বিভাগের অভিযানে ঘুঘু পাখি উদ্ধারগৌতম বুদ্ধের ছয়টি স্মৃতি বিজড়িত দিন আষাঢ়ী পূর্ণিমারুমায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা মহাসমারোহে উদযাপনদুই দিনের বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে খেটে খাওয়া মানুষের মুখ মলিনরাঙ্গামাটির লংগদুতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের আলীকদমে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা আদায়

৪৯৯

॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম ॥
বান্দরবানের আলীকদমে এফবিএম ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ইটের ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের আদেশে লাল রঙের সাইন বোর্ড টাঙানো হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ১২০৪/২০২২ মূলে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

কিন্তু আদালতের রায় ও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে টাঙানো সাইন বোর্ডের পাশে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছিল আলীকদম উপজেলার এফবিএম ইটভাটার মালিক শওকত আলী তালুকদার।

বুধবার (২২ নভেম্বর) খবর পেয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মোঃ জিল্লুর রহমান। এ সময় তিনি এফবিএম ইট ভাটার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, আনুমানিক ২০ হাজার কাঁচা ইট পানি দিয়ে ধ্বংস এবং চুল্লীতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ঢেলে বন্ধ করে দেন।

উল্লেখ্য, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ লঙ্ঘন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল এফবিএম ইটের ভাটায়। গতবছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেন। টাঙানো হয়েছিল লাল সাইনবোর্ড। সম্প্রতি তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করেছিল।

এ সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী হিসেবে কোন জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না। এ আইনের ৪ ধারায় জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না বলে উল্লেখ থাকলেও ইট ভাটার মালিক লাইসেন্স গ্রহণ করেননি।

উপরন্ত আইন অমান্য করে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে ইটের কাঁচামাল পরিবহন ও রিজার্ভ এলাকার কাছাকাটি ইটভাটা স্থাপন করে কয়লার পরিবর্তে লাকড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল।

অভিযুক্ত এফবিমে ইটভাটার মালিক শওকত তালুদকার বলেন, তিনি হাইকোর্ট থেকে একটি আদেশ পেয়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালু করেছিল। এ সংক্রান্ত কপি জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ইট ভাটা আইনের লঙ্ঘন করায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ফায়ার সার্ভিরে সাহায্যে পানি দিয়ে চুল্লী নিভানো হয়। একই সাথে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।