ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী
গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া আওয়ামী লীগ কোনদিন সরকার গঠন করেনি
॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥
গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখলকারীরা আবার যেন কেউ জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। সেটাই আওয়ামীলীগ সরকারের মূল লক্ষ্য।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণ যাতে তাদের ভোটের অধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য নির্বাচনী আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে যতগুলো সংস্কার; সবগুলো সংস্কার কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। শুধুমাত্র জনগণের ভোট নিশ্চিত করার লক্ষে।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা দুই বোন আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছি। রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে নিয়ে মিলিটারি ডিকটেটর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে এই দেশে জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বিচারের হাত থেকে তাদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত রাখে। যুদ্ধাপরাধী, নারী ধর্ষণকারী, লুটপাটকারী, গণহত্যাকারী, অগ্নি সন্ত্রাসকারী, সেসব যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসায়। আজকে বাংলাদেশে যে ভোট নিয়ে খেলা, তার সেই হ্যাঁ-না ভোটের ইতিহাস; যেখানে আর না বাক্স কেউ পায়নি। একাধারে সেনাপ্রধান, একাধারে রাষ্ট্রপতি, সেনা আইন লঙ্ঘন করে সংবিধান লঙ্ঘন করে আবার নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১০০ ভাগের উপরে ভোট নিয়ে অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার চেষ্টা করে এবং ক্ষমতায় বসে দল গঠন করে। সেই দলকে জিতিয়ে যে সংবিধানকে মার্শাল ল’ দ্বারা সংশোধন করেছিল সেগুলো আবার বৈধতা দেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে ভোট চুরির যে কালচার, ডাকাতির যে কালচার, সেই কালচারটাই শুরু করে এবং জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে পার্লামেন্ট তৈরি করে।
উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, একটা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আরেকটা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। ফলে এর বাইরে আর কোনো সরকার আসতে পারবে না। হাইকোর্টের সেই রায় অনুযায়ী, আমরাও সংবিধান সংশোধন করে সপ্তম অনুচ্ছেদে হাইকোর্টের রায় সংযুক্ত করেছি গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য।
ভিডিও কনফারেন্সে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের উপজেরা পরিষদ মিলতায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন, ডা, রুইহলাঅং মারমা, ২নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা সহ উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।