আলীকদমে বিদায়ী জোন কমান্ডার এবং নবাগত জোন কমান্ডারের সংবর্ধনা
॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম ॥
বান্দরবানের আলীকদমে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিদায়ী জোন কমান্ডার এবং আলীকদম সেনাজোনে নবাগত (৩১বীর) জোন কমান্ডারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকার সময় আলীকদম জোন কমান্ডারের বিদায় এবং নবাগত জোন কমান্ডারের যোগদান উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম সেনাজোনের বিদায়ী জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ সাব্বির হাসান, পিএসসি ও (৩১বীর) আলীকদম সেনাজোনে নবাগত জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ শওকাতুল মোনায়েম পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ সোয়াইব,বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়ি মং মার্মা, উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল মান্নান তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ খান জুলফিকার আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার রোকসানা, আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন,২নং চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন,৩নং নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রোসহ স্থানীয় অনান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী জোন কমান্ডার বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের ভূমিকা প্রসংশনীয়। আমি আপনাদের সহোযোগিতায় যেভাবে অত্র জোনের আওতাধীন সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, ঠিক তেমনি নবাগত জোন কমান্ডারকে সকল কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন। আলীকদম সেনা জোন দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সকলের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করলেও কিছু কিছু আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এর বিরোধিতা করে আসছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্থরের জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে আলীকদম সেনা জোন।
তিনি আরও বলেন,বাঙ্গালী এবং অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ যেন একযোগে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তার জন্য আমি সকলকে আহবান করছি। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত হলে বা সংগঠিত হওয়ার পূর্বাভাস পেলে সাথে সাথে সেনা জোনকে অবহিত করবেন। সেনা জোন তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরোও বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল স্তরের জনগণের আপদকালীন সময় ছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে সবসময় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে। পাশে থেকে যে কোন প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে জোন কমান্ডার আলীকদম জোন উল্লেখ করেন।