পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৭১
তালুকদার দাদুর বিকুল্পতো নাই বলিয়াই মনে হইতেছে, মোড়লরাওতো বহুত কিচ্চা কাহিনীর প্যাঁচ মারিতেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড়-চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার-সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় সোনার বাংলার দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপুনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক দাদু-দিদি লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপুরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, ষড়যন্ত্রের জেল খাটিয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৭১ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় লইয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্রও বানাইবেন।
শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, স্বপ্নদ্রষ্টা, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার বার্তা লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসা দেখিয়া পক্ষও অপক্ষে গড়াইতেছে। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও নানান কিসিমের সাইন বোর্ড, আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্য, অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া দৌঁড়াইতেছে। বহুতে বন্দুকের নলায় ফটর ফটর করিয়া দাদু-দিদিগোরে খালি পরপারে দিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাতগোর দলাদলী বলাবলি লইয়া জীবন সাঙ্গে যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে খালি মিনতি জানাইতেছে। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা-সমালোচনা-পরামর্শ হইলো….
মা’জননীগো, তিন পাহাড়ের এক পাহাড় হইলো আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্ট রাঙ্গামাটি। এই মাদার ডিস্ট্রিক্টের আমামীলীগের খরবদারিত্বের পুরিস্থিতিতেতো বহুত রকুমের দশা চলিতেছে। জেলা আমামীলীগের তালুকদার দাদুর বিপরীতে বদল চাহিতে এক পক্ষতো তোড়জোড় চালাইতেছে।নেতৃত্বে সাম্যের বলয় না থাকনে বদলের তালিমালির জোড় চলিতেছে। হেইগুলাইনের লগেতো আরো বহুতে তৈলপট্টি চালাইতেছে। যুবলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলায় থানা কোর্ট গড়াইলে আমজনতা ছিঃছিঃ করিয়াছে। আবার কুফলের ঐ নেতারা সফল কহিয়া পাবলিসিটিও করিতেছে। তয় বহুত আকামের ঘটনার বিচার-আচার কি। আমাগো হব দাদু কহিলো তালুকদার দাদু নৌকার চুয়ান ধরিলেও বাকিরাতো বৈঠা চালাইয়াছে। তয় অসময়েই বহুত বৈঠা চালকগোরে নাকি যার যার ঘরের বৈঠকখানায় টাল মারিয়াছে। স্বার্থবাজ বহুতের ঘরের দরজায় টোক্কা মারিলে হেই বৈঠা চালকগোরের জইন্য নাকি চেয়ারও সাজায়। মা’রে পারবইত্য চট্টুগেরামের যেই হাল-অবুস্থা অতীত ঘাঁটিলে নষ্টের ডিরেকটুর, প্রডিউসুর আর অভিনেতাগোর মঞ্চ সামাল দিতে তালুকদার দাদুও চরম পুলিটিক্স খাটাইয়াছে। হ¹ল দিক-কোণ ঠিক রাখিতে চরকার মতন হিমশিম খাইয়াছে। একজন ঠিক থাকিতেও অষ্টধাতুর পুলিটিশিয়ান আরেকজনও তৈরী করণ জরুরী। তয় মা’রে ধারে ভরে কাটে এমুন সিদ্ধান্ত লইতে গেলে তালুকদার দাদুর বিকুল্পতো নাই বলিয়াই মনে হইতেছে।
মা’গো, বান্দরবনের বাহাদুরতো নাকি এইবার লাকি সেভেনের চেয়ারে বসিবে। হেইখানের জেলাজুড়াইয়া আকামে জড়িতগোর লাগি পুরিস্থিতি ষড়যন্ত্র মনে হইলেও পার্টিতে তাইনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করণের নেতাকর্মী নাকি নাই। হেই পাহাড়ে আত্মগোপুনে থাকা স্বশস্ত্র বহুতেতো মাথাচারা দিয়া ক্যামেরার সামনে আসিয়াছে। আমাগো কাশ দাদু কহিলো শান্তি কুমিটি লগে পাহাড়বাসীও চাহে শান্তি কামিং হোক। তয় উন্নয়নের লগে লগে হাবাবাতাসের চালচলনে বিচক্ষনতায় জোর লাগাইবেন। আমাগো আরেক পাহাড় খাগড়াছুড়ির কুজেন দাদুর উজান টানিয়া ধরিতে নাকি কয়েকে কোমড়ে দরি বান্ধিয়াছে। তাইনের পুরিস্থিতিওতো চাহড় করিতে বহুতে নানান কিচিমের হরদম দূরবীণ লাগাইয়া রাখিয়াছে। যা মনে হইতেছে কুজেন দাদুর রাজনীতির দরবারে বহুতে সেঁকা খাইয়া বেঁকা হইয়াছে। হেই পাহাড়ের চক্রে সীমান্তের ফাঁকফোঁকরে বহুতে নাকি আনাগোনাও হইতেছে। সীমান্ত উপুজিলার পাতলা নারা দাদু কহিলো আমাগো তিন পাহাড়ের পোড়াকপাইল্লা দাদু-দিদিগোর অর্থ ধান্ধাবাজ চাঁন্দাবাজরা লুটিয়া লইয়া সোনার বাংলার কুটি কুটি নোট নাকি রুপি হইয়া যাইতেছে। সীমান্ত এলাকার ফাটা ছেঁড়ায় জাইল্লাগোর মতন কেচকি জাল মারনের প্রয়ুজোন। এই ফাটাকপাইল্লাও চাহে বিষয় আশয় খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো জাতীয় সংসদের দ্বাদশ ইলেকশন লইয়া চরম ফিরিকিশন লাগিয়াছে। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীওতো তেলঝোলও ঢালিতেছে। সড়ক মহা সড়ক, গাঁও গেরামের আনাচে কানাচে চোরাগোপ্তা হামলাকারিগোর বিষয়ে কড়া নজর লাগাইতে গুরিন্দা বাড়ান। বিশ্বের ক্ষেমতাধর মোড়ল দাদুরাওতো তলে তলে ষড়যন্ত্রগোর লগে যন্ত্র লাগাইয়াছে বলিয়াই বিজ্ঞ দাদু বহুতে লিখাপড়া করাইতেছে। মোড়লগোর দেশে দেশে যেইভাবে মানবাধিকার লঙঘন হইয়াছে-হইতেছে হেই বেশরম তাইনেরা বঙ্গবন্ধুর দেশ লইয়া চক্রান্ত চালায়। সংবিধানের যথা সমুয়ে ইলেকশন হইতে হইবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল গুলাইনের কিছুরে আপুনার পাশে বসাইতে ব্যবুস্থাপত্র বানাইবেন। মা’গো আপুনি করোনা-১৯র মতন বিষরে যেইভাবে দমাইয়াছেন সোনার বাংলার দাদু-দিদিগোরে বাঁচাইয়াছেন হেইভাবেই দেশ আর উন্নয়ন গতিরে বাঁচাইবেন। দেশ লইয়া জাতির জনকের দেয়া নোটগুলাইনের অক্ষরে অক্ষরে পালনে সুঁই সুতা চালাইবেন।
মা’গো দেশের তামাম দুনিয়ার দাদু-দিদিরাতো সৃষ্টি কর্তার দেয়া রাইত দিন চরম উদ্বেগ উৎকন্টায় কাটাইতেছে। হ্রতদরিদ্র, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মইধ্যবিত্ত হ¹লের জমাজাটি যা আছিল চরমমূল্যে তাঁগো পকেট খালি। লজ্জ্যাশরমে সামাজিকতা বিয়োগের খাতায়। আমামীলীগের যেই সব লুটেরা দেশের টাকা পাচার করিয়াছে এইসব লইয়াইতো আইজ মহা কুইশান। নির্বাচনের আগেই দশ বিশটা লুটেরার কলার ধরিয়া টান দেন। ফিরিকশন লাগাইতে ক্ষেমতাধর দেশের মোড়লরাওতো বহুত কিচ্চা কাহিনীর প্যাঁচ মারিতেছে। ইলেকশন লইয়া বিএনপি’র অতীত কিচ্চাকাহিনীগুলাইনও দেশের দাদু-দিদিরা ভুলিয়া যায় নাই। বিএনপি জনগনের আস্থা ঠিক করিতে না পারিলে তত্বাবধায়করাই যে পারিবে হেইডারওতো গ্যারান্টি কি। পুরিস্থিতি যা তাহাতে পিছনে থাকনের সমুয় নাই, সামনে আগাইতে ভাঙ্গাচোড়া, ইট পাত্থর, গর্ত-শর্ত, কাঁটাকুটা যাই থাকুক হ¹লস্থানে অপারেশন চালান। আগেভাগে হাতুড়ি পেটা না করিলে ইলেকশনের ময়দানে চেয়ারের খুঁটিতে করাত চালাইবে।
মা’গো, বাজারের পুরিস্থিতির নিয়ম বালাইও নাই। যে যার মতনই চালাইতেছে-চলিতেছে, প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট দাদুরাতো ফাঁকে ফাঁকে তথ্য তালাশ লইয়া মাঠে নামিলেও দুই এক ঘন্টার পর হেই আগের চিত্র। দেশের ভোক্তা অধিকারের বয়ানের কড়া শাসন না থাকনের কারনে চোরা, মজুদদারগুলাইন খালি পোক্তাই হইতেছে। এই কষ্টের মইধ্যে আলু দিয়াও ভাত খাওনের ফন্দিও মাইনাসে যাইতেছে। আপুনি কহিয়াছিলেন ক্ষমতায় যাইয়া দশ টাকার চাইল খাওয়াইবেন হেইডাতো কাগুজেপত্রে রহিয়াছে। একডা রং চা খাইতে গেলেও ছয়-দশ টাকার নোট মারিতে হইতেছে। দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরা গা-সোয়া অর্থে শান্তিতে খাইতে না পারিলে ঘুমাইতে না পারিলে আপুনার স্বপ্নতো দুঃস্বপ্ন হইয়া দেখা দিবে। তয় বিজ্ঞ দাদু বহুতের পরামর্শে কহিলো জনগন বাঁচাইতে দূর্নীতির লাগাম টানিতে খাদ্য আর পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সেনসিটিভ নানান ঘাটে আইনসৃংখলাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ন কর্তা বসাইয়া দিতে। এই দুই সেক্টর শক্ত করিয়া পুরিচালনা করিতে পারিলে আপুনার দেয়া কথা দশ টাকা না হইলেও বিশ টাকার চাইলতো দেশের দাদু-দিদিরা পেটভরিয়া খাইতে পারিবে। বিষয়খানা একবার ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’গো দেশের খ্যাতি দুই নম্বর রাজধানী চাঁটগার স্বাস্থ্য সেবার পুরিস্থিতিওতো বহুত উন্নত হইয়াছে। চমেকেও নাকি বহুত যন্ত্রপাতি যোগ হইয়াছে। জটিল কুটিল রোগের চিকিৎসা যদি দেশেই পাইয়া যায় তয় বিদেশ যাওনের দরকার কি। হেই রাজধানীর দাদু-দিদিরা বহুত খুশী। তয় ডেঙ্গুর ডলাডলিতে সিটি কর্পোরেশন গুলাইনের বিরুদ্ধে বলাবলির দিন গুণিতক হাড়ে বাড়িতেছে। মজুদদার আর মহা মহা পেটুকগোর বিষয়ে খাতুনগঞ্জের নিত্যপন্য লইয়া সাঁড়াশি অভিযান চালনের দরকার। চোর, ডাকাইত, কিশোর গ্যাং, মাদক কারবারী, ছিনতাইকারী হ¹লই আকামের কামে জোর কদমে আগাইয়া যাইতেছে। হেইখানে বহুত শয়তান নাকি চোরাগোপ্তা বাসা বান্ধিয়াছে। কক্সবাজারের হোটেল মোটেলের আকাম বন্ধ করিতে গুরিন্দা বাহিনীর সংখ্যা বাড়াই দিবেন। চাঁটগা লইয়া হ¹ল সমুয়ই গবেষনা চালাইয়া যাইবেন হিসাব করিয়া আগাইবেন। কক্সুবাজারে ট্রেইনের লম্বা লাইন দেখিতে জনতার ঢল আছিল।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায়ও পড়িয়াছে। এমনিতে মানব সৃষ্ট অত্যাচার,নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুর্নীতিমুক্ত নেতা-দেশ গড়নের পিছনে আরো শক্ত হইবেন। জাতিরে কলঙ্কমুক্ত করিতে কঠিন উদ্যোগ লইবেন। যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করিতে চাহে তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপুনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কামে লাগিবে, কথা হইলো আপুনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন, হ¹লরে ভালা রাখিবেন। আইজ এই পর্যন্ত…..
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা- এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রীঃ