উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে দীপংকর তালুকদার এমপি
শিক্ষকদের কাজ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেয়া নয়, তাদেরকে জ্ঞানী করে দেয়া
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, শিক্ষকদের কাজ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেয়া নয়, তাদেরকে জ্ঞানী করে দেয়া। এখন আমিও আনন্দ উপভোগ করছি আপনাদের শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া নিয়ে। এটি হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টি রাখছেন বলেই। রবিবার (৫নভেম্বর) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকামা (অবঃ রাষ্ট্রদূত) এর সভাপতিত্বে বিশষে অতিথি ছিলেন, বোর্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ (যুগ্মসচিব), সদস্য প্রশাসন মোঃ জসিম উদ্দীন (উপসচিব), জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মোঃ মীর তৌহিদ, বিপিএম। এ ছাড়াও উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুষিত চাকমা, তথ্য কর্মকর্তা ডজি ত্রিপুরা সহ পদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে অনুভুতি প্রকাশ করেন স্বাধীন ত্রিপুরা।
প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমরা যখন পড়ালেখা করেছি তখন বিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণী কক্ষে গরু-ছাগলের ময়লা পরিস্কার করে বসতাম। এ ধরনের সুযোগ আমাদের সময়ে হয়নি। দেখুন ভালো ব্যবস্থা না থাকায় আমিও অংকে খারাপ করতাম তাই পরীক্ষায় প্রথম হতে পারতাম না। তাই বলেতো হালও ছেড়ে দিই নি। আগামীতে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের সংখ্যা বাড়ানোর যে উদ্যোগ তাতে আমি উন্নয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে যারা এ বৃত্তি গ্রহন করছেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষায় আগামীর ভবিষ্যৎ ভালো করার জন্য। আপনাদের এ শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া নিয়ে এখন আমিও আনন্দ উপভোগ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকামা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এ বছর রাঙ্গামটিতে ৭৫৪ জনকে এ শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান সহ মোট ২কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন আমিও চাই ভালো শিক্ষা, তাই মেধার বিকাশে বোর্ড এর সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাবে। আমি শিক্ষাবিদ নই তবে শিক্ষার মান বাড়াতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষাবৃত্তি আগামীতে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকার করার চেষ্টা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাকমাদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় সচিব হয়েছিলাম। তাই তোমাদের উন্নয়নে আমারা সাথে আছি। জায়গা সংকুলান হওয়ায় সব ছাত্রছাত্রীদের একসাথে বসাতে না পাড়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিরা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা প্রদান করেন।