[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

“ফারুয়া আর্য ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে” কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে ড. এফ দীপংকর মাহাথের

আর্য্য অষ্টাঙ্গিক মার্গই হলো বৌদ্ধদের সুখের মূল স্তম্ভ

১৪৯

॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
পূজনীয় আর্য্য শ্রাবক সাধনানন্দ মহাস্থবীর বনভান্তের অনুসারী দেব মানব পুজ্য অরণ্য বিহারী,শ্মশানচারী, ত্রি-চীবরধারী পাংশুকুলিক ড. এফ দীপংকর মাহাথের (ধূতাঙ্গ ভান্তে) তাঁর ধর্ম দেশনায় মানব কল্যাণে বলেছেন, আর্য্য অষ্টাঙ্গিক মার্গই হলো বৌদ্ধদের সুখের মূল স্তম্ভ। কেউ ধর্মতাকে হারালে সেখানে ধার্মিকতা আছে বলা যাবে না। নিজের চিত্ত যদি অপরিশোধিত থাকে তাহলে অন্যকেও আপনি পরিশোধিত করতে পারবেন না। গত সোমবার বিলাইছড়িস্থ “ফারুয়া আর্য ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার” এর ৬ষ্ট দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে একক ধর্মীয় দেশনায় ধূতাঙ্গ ভান্তে এসব উপদেশ দেন।

“ফারুয়া আর্য ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার” এর প্রধান দায়ক সমূল্য তঞ্চঙ্গ্যা হেডম্যান), প্রধান দায়িকা সুমিতা দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি কিনারাম তঞ্চঙ্গ্যা, প্রধান সেবিকা নূইলা তঞ্চঙ্গ্যা, পুইখ্যামনি তঞ্চঙ্গ্যা (কার্বারী), নিত্য লাল তঞ্চঙ্গ্যা, নিত্য জয় তঞ্চঙ্গ্যা, বিশ্ব রায় তঞ্চঙ্গ্যা, অমিত্র সেন তঞ্চঙ্গ্যা, রতন তঞ্চঙ্গ্যা, নিরো তঞ্চঙ্গ্যা ও দয়াল তঞ্চঙ্গ্যা সহ বিহারের সকল দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকা, যুব-যুবতি সেবক-সেবিকা কর্তৃক আয়োজিত এ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে “বান্দরবান আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার” এর প্রধান সেবক এ্যামিলি তঞ্চঙ্গ্যা ও প্রধান সেবিকা হ্যাপী চাকমা সহ উক্ত বিহারের দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকা উপস্থিত ছিলেন।

ড. এফ দীপংকর মাহাথের (ধূতাঙ্গ ভান্তে) তাঁর ধর্মোপদেশে আরো বলেছেন, ধর্মকে ঠিকমতো আঁকড়ে ধরতে না পারলে সকলের বর্ণনাতীত ক্ষতি হবে, এমন কি নিজের জীবন হারাতে হয়। ধর্মের নামে তন্ত্রমন্ত্রও মানুষের ক্ষতি করবে। সাপুড়িয়া সঠিক পরিচালনা করতে না পারলে তার বিষাক্ত সাপও তাঁকে ছোবল মারতে দেরি করে না। তাই ধর্মও বিষাক্ত সাপের মত, কেননা যদি তাকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে না পারেন তাহলে সকলেরই ক্ষতি হবে। দেখুন বাঘের ক্ষুধা না থাকলে তার পাশে গিয়ে মোষ পানি পান করলেও তাকে ধরে খেয়ে ফেলে না। তাই না বুঝে অপরের দুঃখের কারণ হবেন না। দেখুন, বিশ্ব শান্তির জন্য লক্ষ-কুটি টাকা ব্যয় করে সম্মেলন করা হচ্ছে অথচ মানব সমাজে শান্তি হয় না। কিন্তু মানুষ সবসময় নিজের মধ্যে হিংস্রতাকে পুষে রাখে। ধার্মিকের সাথে বন্ধুত্ব হওয়া দরকার। তাই প্রয়োজন চিত্ত শান্তি, ধর্ম শান্তি ও কল্যাণের শান্তি। আমি ও আমার শিষ্যমন্ডলী নিঃস্বার্থ সকলের কল্যাণের চিন্তা করবো।

এর আগে ২৯ আক্টোবর সকালে অষ্ট পরিস্কা দান, বুদ্ধমূর্তি দান সহ ভিক্ষু সংঘের জন্য আহার্য্য ব্যবহার্য্য নানান প্রকার সামগ্রী দান করা হয়। পরে দুপুরে ড. এফ দীপংকর মাহাথের (ধূতাঙ্গ ভান্তে) তাঁর সকল শিষ্য মন্ডলীকে সাথে নিয়ে কাপড় বুননের বেইন ঘর উদ্বোধন করেন। বুদ্ধের প্রধান সেবিকা বিশাখা পবর্তিত নিয়েমে তুলা থেকে সুতা পরে তা কাপড় বুনন করে এবং রং করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে সোমবার ৩০ আক্টোবর সেই কঠিন চীবর ভিক্ষু সংঘকে দান করা হয়। এতে ফারুয়া, জুরাছড়ি সহ অন্যান্য স্থান থেকে আগত উপাসিকা গন এ কাপড় বুনন করেন এবং তা দান করার পর অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। এছাড়াও দু-দিন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাতে বুদ্ধ কীর্তনে ধর্মীয় গান শোনান গায়ক সুমন বড়ুয়া সহ তাঁর দল। অনুষ্ঠানে হাজারের অধিক পূর্নার্থী এ দান অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।