মানিকছড়িতে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার অজ্ঞাতনামা তিন আসামী গ্রেফতার
॥ মানিকছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে মানিকছড়ি উপজেলার পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তার পিতা অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে মানিকছড়ি থানা পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) পৃথক অভিযানে তৈকর্মা এলাকা থেকে মোঃ শাহ আলী (২০) নামের এক যুবককে এবং পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকা থেকে মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (২২) ও মোঃ হোসেন আলী (২২) নামের আরো দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা আদালতে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আশিকুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ঐ কিশোরী চট্টগ্রামের আবুল খায়ের কোম্পানীতে কর্মরত আছেন। ঘটনার দিন দুপুরে বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে মহামুনি বাস স্ট্যান্ড নেমে মানিকছড়ি বাজারে কেনাকাটা শেষে দুপুর দুইটার দিকে অটোরিক্সা যোগে গচ্ছাবিল বাজারে নেমে পায়ে হেটে চৈক্যাবিল এলাকার নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথিমধ্যে সড়কের পাশে জঙ্গলে অজ্ঞাতনাম তিন যুবক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। যেহেতু ভিকটিম চট্টগ্রাম শহরে থাকেন তাই তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কাউকেই চিনতে পারেনি। রাতেই ঘটনার সম্পর্কে ঐ কিশোরী পরিবারকে জানালে সকালে তার বাবা বাদি হয়ে একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত তিন যুবককে ধরতে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির সর্বচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকার মোঃ শাহ আলী (২০) নামের এক যুবককে তৈকর্মা এলাকা থেকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকা থেকে মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (২২) ও মোঃ হোসেন আলী (২২) নামের আরো দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সাথে ভিকটিমের ব্যবহৃত মুটোফোন ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই স্বীকারুক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ওসি মোঃ আনচারুল করিম জানান, ধর্ষীতার মুটোফোনের সহায়তায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।