রাজস্থলীতে ৪ পূজা মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো শারদীয়া দুর্গোৎসব
॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥
৫ দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সফলভাবে সমাপ্তি শেষে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা ও ৩নং বাঙালহালিয়াতে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয়া দুর্গাৎসবের। দেশের বিভিন্ন জেলার মতো রাজস্থলীতে ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুর্গাপূজায় মাকে বিদায় জানানোর জন্য মন্দিরে মন্দিরে চলে সিঁদুর খেলা। শেষ বেলায় দেবী দুর্গার আরাধনায় ব্যস্ত ভক্তরা। ঢাকের তালে আর কাঁসার বর্ণিল আওয়াজে খুশিতে মেতে ওঠে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সী নারী পুরুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাকে বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভরে যায় ভক্তদের মনে, ভক্ত ও সাধারণ দর্শণার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ম-পগুলো।
বেলা গড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমা বিসর্জন দিতে সবাই হেঁটে আর ট্রাকে করে ছুটতে থাকে চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলী নদীর তীরে ও পুকুর পার। ধুপ, মোমবাতি আর তেল দিয়ে মাকে প্রণামের পাশাপাশি ভক্তরা কামনা করে আগামী দিনের সুখ শান্তি। এসময় একে একে নদীর ও পুকুরের পানিতে বিসর্জন দেয়া হয় দেবী দুর্গাসহ সকল প্রতিমাকে।
এদিকে সকাল ৯টা হতে রাজস্থলী হরি মন্দির, ছাগল খাইয়া মন্দির, দক্ষীনেশ্বর কালিমন্দির, ও কুটিরিযা পাড়া শিব মন্দির দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের পূজাম-পে বিজয়া দশমীর পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণের জন্য ভীড় জমায় অসংখ্য ভক্ত। এসময় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন উপজেলা সদর, সহ বাঙালহালিয়ার সনাতনী ভক্তবৃন্দ। পুষ্পাঞ্জলি শেষে সনাতন ধর্মালম্বীরা একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে দেবীর বিসর্জনের বার্তা জানায়, ম-পে ম-পে চলে ঢাক-ঢোল ও ধর্মীয় আরতি। ধুপ আর মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো পূজাম-প। প্রশাসনের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত: রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলীতে এবার ৪টি পূজাম-পে শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর সুন্দর ও সফলভাবে পূজা উদযাপন করতে পেরে মহা খুশি সনাতনী ভক্তবৃন্ধরা।