কাপ্তাই নতুনবাজার উপ-ডাকঘর বক্সটির করুন দশা
আপনাদের ৩৯বছর যাবৎ সেবা দিয়ে আসছি, আমাকে দুর্গন্ধ মুক্ত সেবা দিন
॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
আমি আপনাদের দীর্ঘ ৩৯বছর সেবা দিয়ে আসছি। আমাকে আপনারা দুর্গন্ধ মুক্ত সেবা দিন। আমাকে ডাস্টবিন বানাবেন না। আমি রক্তমাখা জীবাণু আর ময়লা আবর্জনা সহ্য করতে পারছি না। আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। দুর্গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।
বলছিলাম কাপ্তাই নতুনবাজার উপ-ডাকঘরটির কথা। রাঙ্গামাটি কাপ্তাই নতুনবাজার (৪৫৩৩) উপ-ডাকঘরটি ১৯৮৪সনে স্থাপিত করা হয়েছে। এ ডাকঘরে সেনা, নৌ, পুলিশ, আনসার, পলিটেকনিক, বন বিভাগ, ব্যাংক, বীমা সরকারি/বেসরকারি এনজিও সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার এখানে রয়েছে এবং এ ডাকঘরটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের চিঠিপত্র আদান-প্রদানের সেবা দিয়ে আসছে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ পোস্ট বক্সটির বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আশপাশে ব্যবসায়ী দোকান- পাঠ ঘরে উঠায় ডাক পোস্টটি কোথায় তার কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। নতুন করে কোন লোক ডাকঘরে চিঠি পোস্ট করতে আসলে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস না করলে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে না। নতুনবাজার উপ-ডাকঘরটির সামনে বক্সটির পাশে দুর্গন্ধযুক্ত রক্তমাখা মুরগি ড্রাম ও চারপাশ জুড়ে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী সেবা ডাকঘরটির কোন গুরুত্ব না দিয়ে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখছে এবং ডাকঘরটির সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করছে। ডাকঘরটির সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে নাক বন্ধ করে চলাফেরা করতে হয়।
ডাকঘরে আসা স্থানীয় ইউসুফ, জামাল ওহালিমা কবির জানান ডাকঘরে আসা যায়না দুর্গন্ধে। আশপাশের ব্যবসায়ীদের কোন বিবেক বলতে নাই বলেও জানান। কাপ্তাই নতুনবাজার উপ-ডাকঘর সাব পোস্ট মাস্টার আকতার হোসেন চৌধুরী জানান, আমরাও ডাকঘরের বসে অফিস করতে কষ্ট হয়। দুগন্ধে থাকাযায়না। বেশির ভাগ সময় আমরা ডাকঘরের আশপাশের ময়লা আবর্জনা টাকা দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করে থাকি। আমাদের কথা কেউ শুনেনা। তবে বক্সটির সামনে রক্ত মাখা ড্রাম দুর্গন্ধ যুক্ত ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখায় অনেক গ্রাহক নাকবন্ধ করে চিঠি ফেলে। তিনি আরোও জানান, আমরা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) বরাবর লেখেছি বক্সটি মাটি হতে উপরে স্থাপন করার জন্য। এ যাবৎ কোন সদুত্তর পাইনি।