[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ১ সদস্য সহ ৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানারামগড়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও অভিভাবকদের গরু বিতরণরামগড়ে সীমা হোটেলের মালিককে জরিমানাকাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালনদীঘিনালায় সেনাবাহিনীর কর্তৃক চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটকপ্রবারণা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নে ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিতপার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: উপদেষ্টা সুপ্রদীপখাগড়াছড়ির পানছড়িতে মৎস্যখাতে কোটি টাকার ক্ষতিলংগদুতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক জনসচেতনতা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় মাদ্রাসা শিক্ষককে মানহানি, থানায় এজাহার

১২৫

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মানহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আইনী প্রতিকার চেয়ে ওই শিক্ষক লামা থানায় এজাহার দাখিল করলে, তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে বিবাদীপক্ষ জানমালের ক্ষতি ও হুমকি দিচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ আলা উদ্দিন। এদিকে মামলার সূত্র ধরে থানার নির্দেশে ঘটনার তদন্তে গিয়েছেন আজিজনগর ক্যাম্পের আইসি ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাছির উদ্দিন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মানহানির শিকার ওই শিক্ষক মোঃ আলা উদ্দিন লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মিশন পাড়ার মৃত ওয়াহেদ হোছাইন এর ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও হোমিও চিকিৎসক। এই ঘটনায় মাষ্টার আলা উদ্দিন বাদী হয়ে করা মামলায় মিশন পাড়ার বাসিন্দা মৃত আমির হোসেন এর ছেলে আবুল কালাম সহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

লামা থানায় করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১নং বিবাদী আবুল কালামের কাছ থেকে বাদী আলা উদ্দিন তার ক্রয়কৃত ১০ শতক জায়গায় ঘর নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট ও ইট বালি সংগ্রহ করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ পুরোপুরি দখল বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ঘর নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে লোক মারফত আলা উদ্দিনের কাছ থেকে বিবাদী আবুল কালাম এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে পার্শ্ববর্তী তার প্রজেক্টের পানি ভিটার উপর দিয়ে ছেড়ে লক্ষাধিক টাকার নির্মাণ সামগ্রী ক্ষয়ক্ষতি করে।

সম্প্রতিকালে মিশনপাড়া এলাকায় বিদ্যুতের উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন স্থানে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই কাজে প্রতিপক্ষ আবুল কালাম সহ স্থানীয় আবু জাফর, কামরুল ইসলাম কানন ও আলী শরিফ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা প্রতিঘরে মিটার প্রতি ৫-৭ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করছে। মিটার না থাকা সত্ত্বেও আমার (আলা উদ্দিন) কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবী করে। আমি যেহেতু ভাড়া বাসায় থাকি তাই টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের ৫/৭ পরিবারের চলাচল রাস্তার মাঝখানে জোরপূর্বক পিলার স্থাপন করে। এবিষয়ে গত ১৫ অক্টোবর আমি প্রতিবাদ করি এবং চকরিয়া বিদ্যুৎ অফিসকে সমস্যার বিষয়ে অবহিত করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে বিবাদী ১০/১২ জন লোক এসে আমাকে গালমন্দ করে এবং টানা হেঁছড়া করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় তারা আমাকে কিলঘুষি মারে এবং জুতাপেটা করে। এতে করে আমার চরম মানহানি হয় এবং তারা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে জানমালের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া আমার ক্রয়কৃত আরেকটি জায়গার মাঝখানে খুঁটি স্থাপন করে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ক্ষতি করতে চাচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত আবুল কালামের সাথে। তিনি বলেন, আমি জায়গা বিক্রি বাবদ মাষ্টারের কাছে টাকা পাবো। সে আমার বাকী টাকা না দিয়ে আমাকে পলাতক দেখিয়ে গোপনে মিস মামলা করে জায়গা তার নামে নামজারি করে নেয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাষ্টারের সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয়। মারধর বা হুমকি-ধমকির কোন ঘটনা ঘটেনি।