আলীকদমে ৫টি মণ্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা
॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম ॥
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিটি পূজা মণ্ডপেই এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা মধ্য দিয়ে চলছে সাজানো-গোছানোর কাজ। শিল্পীর রংতুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে দেবীর রূপ। আলীকদম উপজেলার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে সবচেয়ে বড় দূর্গাপূজার মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, তাদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতে মা দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়। তাইতো সমাজ থেকে অন্যায়- অবিচার ও গ্লানি দূর করার জন্য এই পূজার আয়োজন।
এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে সারাদেশের মতো ২০শে অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন পূঁজা মন্ডপে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। এই পূজাকে দেখতে স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা ভীর করে থাকেন।
পূঁজা কমিটির সূত্রে জানা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিল্পীর রংতুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও দেব-দেবীর রূপ। পূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সময় কাটাচ্ছেন। ঘরে ঘরে চলছে আনন্দ উৎসব ও পূজার প্রস্তুুতি। এবার উপজেলার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে সবচেয়ে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় পূজার মণ্ডপ। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেব-দেবীর অবায়ক।
আলীকদম কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সন্তোষ কান্তি দাশ বলেন, এবছর উপজেলার সহ ৫ টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০ অক্টোবর শুরু হবে দূর্গাপূজা। দশমীপুজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ২৪ অক্টোবর উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে বলে জানান তিনি।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ সোয়াইব বলেন,আলীকদম উপজেলায় ৫টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। এই পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পূজা মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশ, আনসার বাহিনী,বিজিপি টহল টিমসহ সার্বক্ষণিক একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন
এই ব্যাপারে আলীকদম থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান বলেন, অত্র উপজেলায় ৫টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।এই প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশ প্রশাসন পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আরও একটি পুলিশের টহল টিম এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজয় দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা পর্যন্ত পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বে থাকবে।