থানচিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত
॥ থানচি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
“পানি জীবন, পানিই খাদ্য, কেউ থাকবে না পিছিয়ে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানে থানচিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা কারিতাস সিপিপি পিএইপি প্রকল্পের আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে র্যালী শেষে মেঘবতি রিসোর্টের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট সেটু কুমার বড়ুয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা।
এসময় কারিতাস সিপিপিএইপি প্রকল্পের মাঠ সহায়ক জেভার্স ত্রিপুরা সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি দপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাশ গুপ্ত, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী অফিসার এমরান হোসেন, কারিতাস সিপিপিএইপি প্রকল্পের মাঠ অফিসার হাঁদিচন্দ্র ত্রিপুরা, মাঠ সহায়ক নুম্রাউ মারমা প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালেই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের সরকার ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্য থেকে মুক্ত রাখতে উদযাপন শুরু হয়। ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির, কৃষির উন্নতিতে মনোযোগ, কৃষিভিত্তিক উৎপাদনে উৎসাহ দান, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা গ্রহণে উৎসাহ প্রদান, গ্রামীণ জনগণ, পিছিয়ে পড়া মানুষের অবদানে উৎসাহ দান ও প্রযুক্তির সমৃদ্ধিকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়াই এই বিশ্ব খাদ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
বক্তারা আরো বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার মধ্যে খাদ্য প্রথম। সেই খাদ্যের জোগানের কৃষি কাজ করার বিকল্প নাই। তাই দেশের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জুম ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনে শাকসবজি ও ফল বাগান চাষের উদ্যোগ নেয়ার জন্য উচ্ছ্বসিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহব্বান জানান বক্তারা।