[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

৩টি থেকে এখন ৬২ ছাগল

কাপ্তাইয়ে ছাগল পালনে সফল উদ্যোক্তা ইউসুফ

১৪৫

॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের তালপট্টি এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইউসুফ ছাগল পালন করে এখন লাখ টাকা উপার্জন করছেন। তিনি বিএফআইডিসি, কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কেন্দ্রের (এলপিসি) একজন মাষ্টার মেকানিক পদে কর্মরত রয়েছেন।

৪ বছর আগে সখের বসত ১৩হাজার টাকা দিয়ে ৩টি রাম ছাগল কিনে বাসার সামনে খামার করে লালন-পালন শুরু করে। ৩টির মধ্যে একটি ছাগল কুকুরে মেরে ফেলে। ক্রয় করার পর একটি ছাগলের নাম রাখে বুড়ি। বুড়ি ছাগল হতে জন্মনেয়া ও অন্যন্য ছাগল মিলে বর্তমানে তাঁর খামারে মোট ৬২ টি বিভিন্ন জাতের ছাগল রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকার বেশি হবে। এমনকি গত ৪ বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ছাগল বিক্রিও করেছেন তিনি। পাশাপাশি দেখা শুনার জন্য ২জন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। চাকরীর পাশাপাশি অবসরে ছাগলের খামরে বাকী সময় ব্যয় করেন মোঃ ইউসুফ ।

মোঃ ইউসুফ জানান, ২০১৯ সালে অনেকটা শখের বসে ৩ টি দেশী রাম ছাগল কিনে বাসায় পালন শুরু করি এই ৩ টি ছাগল থেকে বংশবৃদ্ধি হতে হতে বর্তমানে ছোট বড় মিলে খামারে বর্তমানে ৬২টি ছাগল হয়েছে। তৎমধে রাম ছাগল, দেশী ছাগল এবং পাঁঠা ছাগল বেশী। প্রতি কোরবানি ঈদে দেশী ছাগল এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মনসা পুজায় পাঁঠা ছাগল বিক্রি করে আমি বছরের লাখ টাকার কাছাকাছি লাভ করে থাকি। গত বছর তিন লাখ টাকার ছাগল বিক্রয় করেন। তার খামারের দেখা শুনার জন্য ২ জন লোক রেখেছি। তাদেরকে মাসে মাসে বেতন দেন।

তিনি আরোও বলেন, সমাজে অনেক বেকার ও শিক্ষিত যুবক-যুবতী রয়েছে। তারা বেকার সময় ও চাকরীর পিছনে না ছুটে আমার মত ছাগল কিনে লালন-পালন করলে অবশ্যই স্বাবলম্বী হবে। বর্তমানে ছাগলের খাবারের দাম বাড়াতে আর বেশি ছাগল পালন করতে পারছি না বলে জানান।

কাপ্তাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক হাজারী ও ভেটেরিনারি হাসাপাতালের সার্জন জাকিরুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই উপজেলার মধ্যে একজন সফল মডেল খামারি মোঃ ইউসুফ। ৩টি ছাগল হতে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। আমরা ঐ খামারিকে সরকারিভাবে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। উক্ত সফল খামারি উদ্যোক্তার মত এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরাও এগিয়ে আসা দরকার। তাহলে সমাজে আর বেকার থাকবে না ও চাকরীর পিছনে ছুটতে হবে না। গত বৃহস্পতিবার ( ৫ অক্টোবর) তাঁর খামারের ছাগলগুলোকে বিনামূল্যে পিপিআর রোগের টিকাও প্রদান করা হয়।