[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির পানছড়ি লোগাং ও ধুদুকছড়া এলাকায় সেতুর পাশে বিশাল ভাঙন

১১৬

॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥

উদ্বোধনের বছর না পেরুতেই বিশালাকার ভাঙন ধরেছে পানছড়ি উপজেলার লোগাং বাজার সেতুর পাশেই। নব-নির্মিত এই সেতুর দক্ষিণ পাশে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা না গেলে সেতুটি যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়তে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ বর্তমানে সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে খুবই ঝুঁকি নিয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ঐ এলাকার কাজী সাদ্দাম, মিলন মিয়া ও আবুল হোসেনের সাথে। তাঁরা জানায়, এই রাস্তা দিয়ে লোগাং শান্তিনগরসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাত থেকে আটটি গ্রামের লোকসহ স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের চলাচল হয়ে থাকে। কিন্তু মাটি সরে গিয়ে বিশালাকার ভাঙনের ফলে সেতুটি যেমনি ঝুঁকিতে আছে তেমনি প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পরে ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। তাই রাস্তা ও সেতুটি রক্ষা করতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি চায় এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে কথা হয় পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ- সহকারী প্রকৌশলী রনেন চাকমার সাথে। তিনি জানান, এই পত্রিকার প্রতিবেদকের কাছ থেকেই লোগাং সেতু এলাকার ভাঙনের কথা জানতে পেরেছি। খুব দ্রুত এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে উঠা ধুদুকছড়া-রুপসেন পাড়া সড়কটিও বিলীনের পথে। তাছাড়া ধুদুকছড়া ছড়ার পাশে দীর্ঘ বছরের দোকানপাট গুলিও রয়েছে ঝুঁকিতে। আর মাত্র দু’তিন হাত গেলেই ছড়াগর্ভে বিলীন হবে দোকানপাটগুলো। এলাকার জ্ঞান রতন, বিদ্যা বিনয় ও মানিক রতন জানায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত লোকের চলাচল। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে খুব সহসাই বিলীন হয়ে যাবে।

জানা যায়, রাস্তাটি পানছড়ি এলজিইডির আওতাধীন। তাই এ ব্যাপারে কথা হয় পানছড়ি এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল খালেকের সাথে। তিনি জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে রাস্তাটি নিয়ে আলাপন করেছি। কাগজপত্র রেডি করে করা হচ্ছে। আশা রাখছি রিটানিং ওয়াল তৈরি করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

এলাকাবাসীর দাবী বিগত চার বছর আগে ধুদুকছড়ার সেতুটির দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙ্গে কোন রকম ঝুঁলে থাকলেও আজো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ সেতু দিয়ে চলতে গেলে মনে হয় কোনো খাদে প্রবেশ করছি। আবার সেই খাদ থেকে বের হয়ে ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে থাকছি। তাই এ ব্যাপারেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছে সবাই।