[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বরকলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে সুবিধা পাবে ৪শতাধিক পরিবার

১২১

॥ নিরত বরন চাকমা,বরকল ॥

রাঙ্গামাটি বরকলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নিরাপদ পানি সরবরাহ (ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) প্রকল্পের কাজটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ৪শতাধিক স্থানীয় পরিবার পানির সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছে বরকল উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর।

জানা যায়, বরকল উপজেলা জুড়ে বেড়েছে পানি সংকট। গরমের তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে গেছে ছড়া-ঝিরি, কমে গেছে নদীর গভীরতা। ফলে পাহাড়ে এখন বেড়েছে সুপেয় পানির অভাব। এ সংকট নিরসনের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সার্বিক সহায়তায় কোটি টাকা ব্যয়ে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। যা ভূ-উপরিষ্ট থেকে পানি পরিশোধনাগারে জমা করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলা সদরে (২০২২-২৩ অর্থ বছর) এ প্রকল্পের কাজ চালু করা হচ্ছে। এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানি পরিশোধনাগারের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭৫ ফুট,প্রস্থ ১৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৯ ফুট। আর পানির ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ৪৭হাজার লিটার। উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে ৪ শতাধিক স্থানীয় পরিবার পানির সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বরকল ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আবু বক্কর বলেন, বরকল উপজেলা মানুষের প্রধান সমস্যা হলো পানি সমস্যা। স্থানীয় জনসাধারণের সুবিধার্থে করা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পটি অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বহু পরিবার সুবিধা পাবে।

বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন, বরকল উপজেলাতে তীব্র পানি সংকট রয়েছে। এ পানি সংকট নিরসনের লক্ষ্যে উপজেলায় মাসিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টেকসই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য কে প্রস্তাব দেয়া হয়। তারপর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের মাধ্যমে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরবর্তীতে এ প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন করা হয়। আর এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটি আসলে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য করা হচ্ছে। কাজটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ৪শ পরিবার পানি সুবিধা পাবে।আর এ প্রকল্পের কাজ টেকসই করার জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদের ভূমিকা রয়েছে।

বরকল উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুশো খীসা জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় বরকল উপজেলায় ৪৭ হাজার লিটারের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের কাজ এ প্রথম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।পুরোপুরিভাবে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে ৪ শত পরিবার পানি সুবিধা পাবে। তিনি আরও জানান, উপজেলায় যে সমস্ত এলাকায় রিং ওয়েল, টিউবওয়েল করা সম্ভব নয় সেখানে রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। একইসাথে পাহাড়ে পানি সংকট নিরসনের লক্ষ্যে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা দরকার এবং সেগুন গাছ লাগানো বন্ধ করা দরকার বলে মনে করেন। আর পানি ধারণ করে রাখে এমন গাছ,বাঁশ লাগানোর পরামর্শ দেন। একইসাথে পানি সংকট নিরসনের জন্য টেকসই পরিকল্পনা করার কথা তিনি উল্লেখ করেন।