খাগড়াছড়িতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং শিশু সুরক্ষা বিষয়ক আন্তঃ প্রজন্ম সংলাপ
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়িতে ‘জাবারাং কল্যাণ সমিতি-ওয়াই মুভস প্রকল্প’র আয়োজনে প্ল্যাণ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’এর কারিগরি সহযোগিতায় সিডা’র অর্থায়নে যৌন, প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং শিশু সুরক্ষা বিষয়ক আন্তঃ প্রজন্ম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫জুন) সকালে জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের হলরুমে এনসিটিএফ-পেরাছড়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহনা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (অ. দা.) সুষ্মিতা খীসা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুষ্মিতা খীসা বলেন, বর্তমান সরকার নারী-শিশুদের স্বাস্থ্য, অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের মূল স্রোতকে বাস্তবায়ন করতে আমরাও তৃনমূল পর্যায় থেকে শুরু করে যথেষ্ট সচেতন। এছাড়াও তিনি স্ব স্ব অবস্থান থেকে নারী ও শিশুদের অধিকার ও নারী সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতন হওয়া, সকলে মিলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা, কিশোরীদের সমস্যা হলে জানানো অথবা স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন পরিষদকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)মোঃ তোহিদুল ইসলাম, পেরাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিম্বীসার খীসা, ৪নং পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, জাবারাং কল্যাণ সমিতির কর্মসূচি সমন্বয়কারী বিনোদন ত্রিপুরা, জাবারাং-ওয়াই মুভস প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার দোলন দাশ সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মহিলা কার্বারী।
এছাড়াও সংলাপে বক্তব্য রাখেন খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির এডভোকেসি অফিসার পিংকি বড়ুয়া, কিশোরী ক্লাবের ফিমেল মেন্টর ললিতা বৈষ্ণব (ত্রিপুরা)সহ পেরাছড়া এনসিটিএফ’র সদস্যরা।
সভায় বক্তারা, প্রজনন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্যের উপাদান, প্রজনন স্বাস্থ্যের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রজনন স্বাস্থ্যগত সমস্যা/বয়ঃসন্ধিকালের ঝুঁকিসমূহ, বয়ঃসন্ধিকালের ঝুঁকির কারণ ও প্রতিকারে করণীয়, বাল্যবিবাহ কি? কিশোর বয়সে গভধারণের ঝুঁকি/ক্ষতিকর দিক, বাল্যবিহারের অন্যান্য নেতিবাচক দিক, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সমাজের ভূমিকা, কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও পরামর্শ বিষয়ক সেবা, চিকিৎসা ও সেবাসমূহ, স্বাস্থ্য সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীরা যেসব বাঁধার সম্মুখীন হয় (ব্যক্তিগত বাঁধা, সামাজিক –সাংস্কৃতিক বাঁধা ও কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধা), কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাঁধা নিরসনে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।