দীঘিনালায় বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলোচনা সভা
পার্বত্য চট্টগ্রামে বেসরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্ত্রী সন্তান নিয়ে অর্ধহারে থাকে
॥ দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় খাগড়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলোচনা সভায় শিক্ষকরা বলেছেন বিনাবেতনে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সরকারি স্কুলের মত পাঠদান করি। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন করছি। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় দীঘিনালা উপজেলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয়োজনে কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাগড়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমিতির আলোচনা সভায় শিক্ষকরা এ কথা বলেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দেওয়ানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জ্যোতি ত্রিপুরা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ধনীময় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা, সমরজিৎ চাকমা প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বিনাবেতনে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সরকারি স্কুলের মত পাঠদান করাই। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা পার্বত্য অঞ্চলের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা দূর্গম এলাকার স্কুল করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াছি। আমরা সরকারের কাছে দাবী করছি বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১ হাজার স্কুল স্থাপন প্রকল্প বাতিল করে আমাদের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে যাচাই বাছাই করে জাতীয় করনে আওতায় আনার দাবী করছি। এছাড়া পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে তিন পার্বত্য জেলায় ১৪২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালিকা করা হয়েছে, ১৪২টি নয় পার্বত্য তিন জেলার সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পার্বত্য মন্ত্রনালয়ে অন্তর্ভুক্ত করারও দাবী করেন।