বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও জাবারাংয়ের সহযোগিতায়-
মহালছড়িতে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সমন্বয় সভা
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও জাবারাং’র সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের আয়োজনে কেরেঙ্গানাল কমিউনিটি ক্লিনিক চত্ত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেরেঙ্গানাল কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মানিক রঞ্জন খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের প্রোগ্রাম অফিসার (নেটওয়াকিং এন্ড লিঁয়াজো) রাজেশ কুমার অধিকারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’র গবেষক ডাঃ লামিসা রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বদেশ প্রীতি চাকমা, যুব সংগঠন বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুশান্ত চাকমা (ধনমনি), স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি তান্টু তালুকদার, জাবারাং কল্যাণ সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ধনেশ্বর ত্রিপুরা, পরিবার কল্যাণ সহকারি ডিউই মার্মা, ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও সিএইচসিপি ডেফোডিল খীসা, স্থানীয় কার্বারী কর্ণেন্দু বিকাশ খীসা, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের যুগ্ম সমন্বয়কারী অজয় দাশ, তথ্যায়ন সম্পাদক দহেন বিকাশ ত্রিপুরাসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় স্থানীয়রা জানান, সিএইচসিপি সপ্তাহে ৬দিন থাকার কথা থাকলেও বসে ৩দিন। এটিও অনিয়মিত। ক্লিনিকে আসতে হলে প্রথমে ফোন করে আসতে হয়। ক্লিনিক ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ। নেই কোন ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা ও খাবার পানি। বৃষ্টি হলে ঢুকতে ভয় পায়।অনেক সময় কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ পেলে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সেবা গ্রহণকারীরা ও পাড়াবাসী।
এ ব্যাপারে কেরেঙ্গানাল কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মানিক রঞ্জন খীসা বলেন, আগে উপজেলা-জেলায় গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয়। এখন গ্রামে পাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। প্রায় ১৪টি পাড়ার মানুষ এখানে সেবা নিচ্ছে। তিনি একজন ইউপি সদস্য, সেই সুবাদে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। এ কারণে ক্লিনিকে কি সমস্যা, কি হয় এসব বিষয়ে দেখার সুযোগ পায় না, এমনটাই জানিয়েছে। পরিশেষে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।