[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতখাগড়াছড়ির রামগড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ চারা বিতরণরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল৭২এর মুজিববাদী সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ ইসলামকাপ্তাইয়ে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানানৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদরাঙ্গামাটি শ্রী শ্রী লোকনাথ যোগাশ্রমের (মন্দির) ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলাস্থ ভাইবোনছড়ায় বৃদ্ধ মজিবুর এর জায়গা দখলের অভিযোগকাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ইন্তেকাল
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারের আত্মহত্যা

৪৯৫

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাইদা আক্তার মিলি (২৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১১টা ৭ মিনিটে লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকা নিজ ঘরের পাটাতনের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

সাইদা আক্তার মিলি লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মধুঝিড়ি এলাকার আবুল কালাম ও রূপনা আক্তারের কন্যা এবং লামা উপজেলার রপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে কমর্রত ছিলেন। গত দেড় বছর আগে রাঙ্গামাটির ছেলে কায়ছার আহমদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী কায়ছার আহমদের সাথে নানা বিষয়ে তার মতের অমিল ছিল। সবসময় তার স্বামী তাকে সন্দেহ করত। এইসব নিয়ে প্রায়সময় মানসিক কষ্টে থাকত মিলি। এইসব নিয়ে মায়ের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। সকালে মিলি’র মা সহকারী শিক্ষক রুপনা আক্তার স্কুলে চলে যায়। সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় নিজ রুমের পাঠাতনের সাথে গলায় ফাসঁ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহতের ছোট ভাই জিসান বলেন, আমি আর আপু বাড়িতে ছিলাম। আমাকে আপু (মিলি) সকাল ১১টার দিকে দোকান থেকে তার জন্য নাস্তা আনতে পাঠায়। আমি নাস্তা আনতে গেলে এই ফাঁকে সে গলায় লাগায়। আমি দোকান থেকে এসে তাকে ঘরের পাটাতনের সাথে ঝুলতে দেখি এবং দ্রুত প্রতিবেশী লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে লামা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। গতরাতে আপু মানসিক কষ্টে কয়েকটি ঘুমের ঔষধ খেয়েছিল বলে জানতে পারি।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ রোবিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সে আমাদের হাসপাতালের স্টাফ ছিল। লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুবাইরা বেগম বলেন, মিলি খুবই পরিশ্রমী ও ভদ্র একজন মানুষ ছিল। তার মত মেয়ে এমন কাজ করবে ভাবতে পারিনি।

এ ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মৃতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ২০২৩ইং শুক্রবার লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আরেক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাবরিনা তারান্নুম মেঘলা (২৬) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দুই মাসের ব্যবধানের আরেক সহকর্মী সাইদা আক্তার মিলি আত্মহত্যার করার বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।