[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বন্যহাতির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বসতবাড়িকাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে এক হাজার পরিবারদীঘিনালায় আশ্রয় কেন্দ্রে বিএনপি’র ত্রান সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় জমি বিরুদ্ধে মাথা ফাঁটল শিশু ও বৃদ্ধের

১৫৮

॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় সাফিয়া বেগম (৫০) ও তাঁর কোলে থাকা ১৪ মাস বয়সী শিশু মিনহাজের মাথা ফেটেছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মেরুং ইউপির অধীনস্থ বড় মেরুং এলাকায়। আহত সাফিয়া বেগম ও মিনহাজ সম্পর্কে নানী-নাতী। ঘটনার পর স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরদিন (রবিবার) আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রমেশ চাকমা জানান, সাফিয়া বেগমের মাথায় ১০টি ও শিশু মিনহাজের মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

আহত সাফিয়া বেগম বলেন, প্রতিবেশি কামাল হোসেন (৪০) এর সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে আমার পক্ষে রায় হয়। এরপর কামাল আপিল করেছে, যা এখনো বিচারাধীন। ঘটনা সম্পর্কে সাফিয়া বেগম বলেন, নাতি মিনহাজ কান্না করতেছিলো। তাই নাতিকে কোলে নিয়ে কামালের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে দোকানে যাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় কাঠের লাকড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে কামাল। একপর্যায়ে আমি নাতি মিনহাজকে নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায়, আহতরা চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পরেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান শিশু মিনহাজের পরিবার।

অভিযোগ অস্বীকার করে কামাল হোসেন বলেন, ছাগলে আমার পুঁইশাক গাছ খেয়ে ফেলায় আমি বকাবকি করছিলাম। তখন সাফিয়া বেগম বকাবকি নিজের কাঁদে চেপে নিয়ে আমাকে মারতে আসে। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির কারণে মাটিতে পড়ে গিয়ে সাফিয়া বেগম ও তাঁর নাতি আহত হতে পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জানান, এ ঘটনার পর তিনি নিজে আহতদের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিজেরা উত্তেজিত না হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে ভালো হতো।