সরকারের জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন
মাঠ পর্যায়েও তাঁকে দেখা যায় নিরপেক্ষ সেবক-শাসক-বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে
রাষ্ট্রের পরিচালকের প্রথম এবং কল্যাণকর কাজ হলো তাঁর জনগনের সার্বিক শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তারমধ্যে জনগনেরও প্রথম এবং কল্যাণকর সহযোগীতা হলো রাষ্ট্রের পরিচালককে একনিষ্টভাবে সহযোগীতা করা। এই দুই এর কল্যাণকর কাজগুলোই একটি রাষ্ট্রের সর্বদিকেই দ্রুত উন্নয়ন সাধিত হবে তা অবধারিত। তাই উভয়দিকই ঠিক রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কল্যাণকর চিন্তাগুলোই ঠিক করেছিলেন। এভাবেই তাঁর কল্যাণকর স্বপ্নগুলো ছিল ত্যাগের আর শিক্ষার। দেশের এবং জনগনের উন্নয়নে প্রত্যেকটি চিন্তাই ছিল কল্যাণের। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ঐসব কল্যাণকর চিন্তা এবং স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছেন। তাই দেশের অসহায় জনগনকে আইনী সহয়তা দিতে কল্যাণকর চিন্তাগুলো কাজে লাগাচ্ছেন।
তারই অংশ ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনীসেবার দ্বার উম্মোচন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাতেও ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন করা হয়েছে। সরকার তাঁর জনগনের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ বাস্তবায়ন করেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে দেশের অন্যান্য স্থানের মত রাঙ্গামাটিতেও প্রতিষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয় এর বিচারক-কর্মকর্তাগন সফলতার সাথেই সরকারের এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ইতিমধ্যেই তিন পার্বত্য জেলার মধ্যেই লিগ্যাল এইড কমিটি রাঙ্গামাটির সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। এ প্রশংসার মূল কেন্দ্র বিন্দু যেন মোঃ জুনাইদ, সিনিয়র সহাকরী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা। যিনি কিনা পাহাড়-টিলা অতিক্রম করে নানান মামলায় পরিবেষ্টিত মানুষগুলোকে শান্তির জন্য একত্রিত করছেন বিরোধ মীমাংসার জন্য। তিনি যতেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে জনগনের কল্যাণে সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছেন।
জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয় সুত্র থেকে জানা গেছে, ১৩৭৮টি বিভিন্ন শ্রেণীর মামলার আপোষে বিরোধ মীমাংসার জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৩১৬টি নিষ্পত্তি করেছে যার হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, সরাসরি উপকারভোগী ১৯৭৪ জনের মধ্যে বিনামূল্যে আইনী পরামর্শ দিয়েছেন ১২৮৯ জনকে। আপোষ বিরোধ মীমাংসার কারণে আদালতে বিচারধীন মামলা কমেছে ৮৭টি। উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি করা, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে প্রচার সভা, মীমাংসা সভা সহ দরিদ্রদের জন্য আইনজীবি নিয়োগ করছেন। আবার আপোষ বিরোধ মীমাংসার মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩১ হাজার ২শত ৯৪ টাকা এর মধ্যে প্যানেল আইনজীবিদের বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২লক্ষ ৩৫ হাজার ৯শত টাকা। তবে খেয়াল রাখতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যাহাতে স্বতন্ত্র এবং সাম্যের চেতনাকেই সমুন্নত রাখে। যার জন্য প্রশংসিত রাঙ্গামাটি জেলায় সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা মোঃ জুনাইদ। একজন সফল কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর সফলতা সহ সরকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক সমস্যার কারণে বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দিচ্ছেন। তাই তাঁকে দেখা যায় নিরপেক্ষ সেবক, শাসক এবং বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে। এসব মিলিয়ে দেখা যায় সরকারের বিনামূল্যে দরিদ্রদের জন্য এ আইন সহায়তা প্রতিষ্ঠান সফলতা অর্জন করবে যদি একজন সৎ কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।