রাঙ্গামাটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
॥ আরিফুর রহমান ॥
‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বেসরকারী উন্নয়র সংস্থা ইপসা ও গ্রিন হিলের সহযোগিতায় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল কার্যালয়ের সম্মুখে এসে মিলিত হয়। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা খোকন চাকমার সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা। উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা গ্রীনহিলের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডাঃ উদয় শংকর দেওয়ান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা (সদর) ডাঃ বিনোদ শেখর চাকমা, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ইপসা সুখী জীবন প্রকল্পের এফ এফ গৌতম শীল, পাথফাইন্ডার ডিস্ট্রিক অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুখী জীবন প্রকল্পের কমিউনিটি রিসোর্সপুলের সদস্যবৃন্দ, জিও, এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসময় সিভিল সার্জন বলেন, ১৯৪৮সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। গুরুত্বের বিচারে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থা। প্রতিবছর মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রতিপাদ্যে সিভিল সার্জন অফিস দিবসটি পালন করে থাকে। বর্তমান বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিচারে এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। সেসাথে আমাদের ৫টি মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্য অন্যতম। এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্যও এই প্রতিপাদ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর প্রত্যেক ব্যক্তি যেকোন অবস্থায়, যেকোন স্থানে তার অর্থনৈতিক ঝুঁকি ছাড়া মান সম্মত স্বাস্থ্য নিতে পারবে, এটি সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা এটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার যে বিষয়গুলো আছে, আমরা যদি তা অর্জন করতে পারি তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আমরা ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নিশ্চিত করতে পারবো। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশী কাজ করতে হবে উপজেলা ও নিম্ব পর্যায়ে। তাই আমাদের (স্বাস্থ্যকর্মীদের) সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনা সৃষ্টির জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।