॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন,মানিকছড়ি ॥
গত ২ এপ্রিল মানিকছড়ি উপজেলার কালাপানি এলাকায় গণপিটুনিতে ইউপিডিএফ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংগঠনের ডাকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার সকালে ইউপিডিএফ’র (মূল) ডাকা সড়ক অবরোধ চলাকালিন সময়ে মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী সরকারি কলেজ ও কলেজিয়েন সংলগ্ন খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা করে ইউপিডিএফ কর্মীরা। খবর পেয়ে মানিকছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ও গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি গুলোকে পুলিশি নিরাপত্তায় পারাপারের মাধ্যমে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
অন্যদিকে ইউপিডিএফ’র ডাকা আধাবেলা সড়ক অবরোধের সমর্থনে পিসিপি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতাকর্মীরা লক্ষ্মীছড়িগামী ৬টি সিএনজি ও ১টি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করে চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় তারা গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে চালকদের অনুুরোধে রক্ষা পান।
মানিকছড়ি থানা ওসি মোঃ আনছারুল করিম বলেন, ইউপিডিএফের ডাকে আধাবেলা সড়ক অবরোধে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের দুয়েকটি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলেও পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে কোথাও কোনো বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, মানিকছড়িতে গত ২ এপ্রিল রোববার হ্লাচিং মারমা (উষা) নামের এক ইউপিডিএফ কর্মী গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ৫ এপ্রিল খাগড়াছড়ির পাঁচ উপজেলায় (মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা) সড়ক অবরোধের ডান দেয় সংগঠনটি।