॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পাঁচ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ আনু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে মানিকছড়ি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার কালাপানি নামক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের নামারপাড়া এলাকায় গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐ এলাকার প্রতিবেশি আনু মিয়া কন্যা শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করেন। শিশুর আত্মচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নির্যাতিতার মা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি বিষয়টি সমাধা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য এ বিষয়ে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং শিশুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার গোপনাঙ্গে ক্ষত চিহ্নের আলামত থাকায় ঐদিন (১১ মার্চ) শনিবার সন্ধ্যায় তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা ছবুরা বেগম বাদী হয়ে মানিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৪, তারিখ: ১১.০৩.২৩ইং)।
মামলার পরপরই মানিকছড়ি থানার ওসি মোঃ আনচারুল করিম তাকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দ সোর্স ও মোবাইল ট্রেকিংসহ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে নজরদারীতে রাখেন। প্রথমে সে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করলেও পরবর্তিতে সে কুমিল্লা চলে যায়। তাবে সেখানেও তাকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারীতে রাখা হয়। পরবর্তিতে তিনি (আনু মিয়া) তার লোকেশন পরিবর্তন করে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলাধীণ কালাপানি এলাকায় অবস্থান করলে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মানিকছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম’র নির্দেশনায় বিকেল সাড়ে ৩টায় এসআই মোঃ ইয়াছিন ও এসআই মোঃ নাজমুল হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে তাকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ওসি মোঃ আনচারুল করিম জানান, প্রতিবেশী আনু মিয়া কর্তৃক কন্যা শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতারের জন্য উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স নিয়োগ করা হয়। সর্বদা তার গতিবিধি নজরদারীর এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাশর্^বর্তী গুইমারা উপজেলার কালাপানি এলাকা অবস্থান করলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি একাধিক মামলার আসামী বলে জানিয়েছেন তিনি। আটককৃত আসামী মানিকছড়ি থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।