আর্থিক ভাবে ফের লোকসান গুনতে হবে পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধ
॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
নিরাপত্তাজনিত কারণে বান্দরবানের থানচিতে আবারো অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৪মার্চ) থেকে এর কার্যকর হয় বলে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ গণবিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্তে অত্রাফিসের পত্র নম্বর-০৫.৪২.০৩০০.৪০৩.১২.০৪৬.৯৪; ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মূলে জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনাকরতঃ রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এতদ্বারা নিষিদ্ধ করা হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, জেলায় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত জারিকৃত গণ বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর বান্দরবান রিজিয়ন, বান্দরবান সেনা নিবাসের ১০ ফেব্রুয়ারি এক পত্রের আলোকে ১৪ মার্চ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করত জেলার এই তিন উপজেলায় পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন না। তবে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ০৭টি উপজেলার মধ্যে রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলা ব্যতীত অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকগণ ভ্রমণ করতে পারবেন।
এদিকে ফের এ নিষেধাজ্ঞা জারী আরোপের কারণে থানচিতে আর্থিকভাবে লোকসান হবে ব্যবসায়ীদেরও। দফায় দফায় বাড়তে থাকলে শতাধিক ব্যবসায়ী এবং গাইড কর্মশূন্য হয়ে পড়বে। প্রতিবছরে থানচিতে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটলেও ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পর্যটক না আসলে উপজেলার হোটেল-মোটেল ও বিনোদনস্পটগুলো পর্যটক শূন্যতায় থাকবে। ফলে আর্থিক ভাবে ফের লোকসান গুনতে হবে বলেছেন পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।
এ নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর বলেন, জনস্বার্থে এবং সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থানচি উপজেলাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে সকলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।