[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারপাহাড়ের উন্নয়নে ঐক্য ও সম্প্রীতির বিকল্প নেই: খাগড়াছড়িতে নাহিদ ইসলামদীঘিনালায় নদীর গর্ভে বিলিন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচলখাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের প্রতিবাদে দীঘিনালায় মানববন্ধনশিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়ার অন্যতম কারণ ফেসবুক, ইউটিউব ও ইন্টারনেটথানচিতে আবাসিক ছাত্রাবাস ভবনের ছাদে ফাটল, ঝুঁকিতে ৭০জন শিক্ষার্থীরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতখাগড়াছড়ির রামগড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ চারা বিতরণরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল৭২এর মুজিববাদী সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ ইসলাম
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

হালদার উজানে তামাকের বিকল্প হতে পারে গম ও ভুট্টাচাষ

মানিকছড়িতে গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

৯৮

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

২০২০ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা করিতাস উপজেলার উপকারভোগী স্থানীয় কৃষকদের গম চাষে আগ্রহী করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে ঐ বছর মাত্র ১০জন কৃষককে বাংলাদেশ গম ও ভুট্ট গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর’র সহযোগিতায় গমের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। ২০২১ সালে ১২ জন এবং বর্তমান মৌসুমে ২০জন কৃষকের মাঝে গমের বীজ ও সার দিয়ে তাদেরকে গম চাষে আগ্রহী করে তুলেছেন। যার ফলে বিগত বছরের তুলনায় পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এ বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে উপজেলার নামার তিনটহরী, বড়ডলু কুঞ্জরীপাড়া, নামার তিনটহরী, বাটনাতলীর থলিপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় এ বছর গমের ফলন লক্ষ করা যায়। বর্তমানে কেউ গম ঘরে তুলছেন, আবার কেউ শেষ ইঁদুর-পাখি তাড়াতে ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে গেলে কথা হয়, উপজেলার কঞ্জরীপাড়া এলাকার মোঃ মুজিবুর রহমান, এমান, আজিজ ও বাটনাতলী থলিপাড়া এলাকার ক্যওচিং মারমা ও আবু তাহেরসহ বেশকিছু চাষীর সাথে। তারা জানায়, প্রতি ২০ শতাংশ জমিতে গমের আবাদ করতে আমাদের ৩-৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি হবে প্রায় ২০-৩০ হাজার টাকা।

কারিতাসের মাঠ কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান জানান, একটা সময় কৃষকদের ধান কিংবা অন্যান্য সবজি চাষাবাদের অভিজ্ঞতা থাকলেও গম চাষে তাদের পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রথম দিকে চাষাবাদে তেমন একটা আগ্রহ না থাকলেও বর্তমানে কৃষকদের আগ্রহের কমতি নেই। অনেকেই নিয়মিত অফিসে যোগাযোগ রাখছেন বীজ ও সারের জন্য। ইতোমধ্যে ৩০ জনের নামের তালিকা জমা রয়েছে। বর্তমান মৌসুমে ২০জন উপকারভোগীর মাঝে ৫ কেজি বীজ ও ৬৮ কেজি বিভিন্ন ধরণের সার প্রদান করা হয়েছে। তারা শুধু নিয়মিত পরিচর্যা ও সেঁচ কার্য্য পরিচালনা করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ ও পরিশ্রম খুবই কম। তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর পরিবেশ অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি কৃষকের ৩-৫ হাজার টাকা খরচে প্রায় ২০-৩০ হাজার টাকা আয় হবে। যার ফলে তাদের গম চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক আকারে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের চিন্তা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাসিনুর রহমান জানান, ধানের তুলনায় গমে সময় কম লাগে এবং লাভ বেশি পাওয়া যায়। কম সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমে এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে হালদার উজানে যেহেতু এ বছর তামাকের ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। তাই সেখানে তামাকের বিকল্প হতে পারে গম ও ভুট্টাচাষ। তাছাড়া গম চাষে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বরাবরের মতো সবধরণের সহায়তা করা হবে বলেও তিনি জানান।