[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের শিঁকড় হচ্ছে জনগণ

দেশ কীভাবে সমৃদ্ধির দিকে যাবে তার চিন্তায় মগ্ন থাকেন প্রধানমন্ত্রী: মন্ত্রী বীর বাহাদুর

১৭০

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট মেধার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে আমার সোনার ছেলে চাই। সেই সোনার ছেলে হলেন আপনারা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের মেধাশ্রমের যে অবদান রয়েছে তার কথা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভালো কাজ করার চর্চা করতে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন। তাহলেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। সোমবার (৭মার্চ) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের চারজন কর্মকর্তার অবসরজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় বিদায় সংবর্ধিতদের উপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) আলেয়া আক্তার, যুগ্মসচিব মোঃ হুজুর আলী, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক উপ-সচিব সজল কান্তি বনিক, উপ-সচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, সিনিয়র সহকারী সচিব মুন্না রাণী বিশ্বাস, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ দেলওয়ার হোসেন শরীফ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ মিঠু ও অফিস সহকারী হাফছা আক্তার হেপী। কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানের স্মৃতিচারণ করে সংবর্ধিতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১), অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব জাহিদুল হক সরদার, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা খাতুন এবং অবসরপ্রাপ্ত সহকারী সচিব জনাব মোঃ হায়দার আলী মোল্লা। অনুষ্ঠানে অবসরজনিত সংবর্ধিতদের ফুলের শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের জন্য, জাতির জন্য ভালো কিছু করার চিন্তা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সবসময়ই লালন করতে হবে। মন্ত্রী উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আজ যা করবো, আমার পরের জন কাল তা-ই অনুসরণ করবে। কাজেই সকলকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করার কারণেই আমরা আজ একটা অবস্থানে আসতে পেরেছি। মন্ত্রী বান্দরবানের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বান্দরবানকে মনে করি এটি আমার একটি পরিবার। সবাই আমার আপনজন। পরিবার মানে সমষ্টিগত সবাইকে নিয়ে একটি পরিবার। যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের শিঁকড় হচ্ছে জনগণ। দেশের জনগণ কীভাবে ভালো থাকবে, দেশ কীভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে তার চিন্তায় সবসময় প্রধানমন্ত্রী মগ্ন থাকেন।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমরা সবাই একটি পরিবার। এর সফলতা ও ব্যর্থতার ভাগীদার আমরা সবাই। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছি বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। ভালো কাজের জন্য প্রত্যেকেরই অবদান থাকে। সকল মন্ত্রণালয়ের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজের একটা যোগসূত্র আছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম বলেন, কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি পর্যায়কে আমরা দায়িত্বের সাথে আনন্দও করে থাকি। সচিব বলেন, কাজের মধ্যে আনন্দ আছে, তিক্ততা আছে, বেদনাও আছে। আবার প্রকৃতির নিয়মে নতুন কাজে আমরা আবারো অভ্যস্ত হয়ে যাই। সচিব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করেন এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর স্মৃতিচারণ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। যার ফলস্বরূপ আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি এবং শহীদ জাতীয় চারনেতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।