[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ফিরে গেল মাদ্রাসা সুপার

১৪৪

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা’র সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন খান আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগে ২০০৯ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরিচ্যুত করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি। গেল বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও হলে চাকরিচ্যুত সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন খান স্বপদে ফিরতে আইনি লড়াই শেষে আদালতের রায়ে চলতি বছরের গত ৩ জানুয়ারি পুনরায় কর্মস্থলে যোগদান করেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর আবারও বিনা ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। যার ফলে রবিবার (৫ মার্চ) সকালে কর্মস্থলে আসলে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে না পেরে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে।

পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকায় ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা’। মাদরাসার দায়িত্বে থাকা সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন খানকে আর্থিক অনিয়মসহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছারিতার কারণে ২০০৯ সালের ১ জুলাই মাদরাসা পরিচালনা কমিটি তাকে চাকুরিচ্যুত করেন। এর পর থেকে একাধিক ভারপ্রাপ্ত সুপার দায়িত্বে ছিলেন। আদালতের আদেশের রায়ে রবিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে তিনি মাদরাসা প্রাঙ্গণে আসলেই শিক্ষার্থীরা সুপারের অফিস কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে নানা স্লোগান ও পোষ্টার নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

মাদরাসা প্রাঙ্গণের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ মোঃ আতিউল ইসলামসহ শিক্ষক-অভিভাবকেরা।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীনসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন’র বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত তাকে মাদরাসায় আসা থেকে বিরত থাকতে বলেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভের খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মাদরাসায় ছুটে আসি। এসে দেখি মাদরাসা প্রাঙ্গণে নানা অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। এর আগেও তাকে ২০০৯ সালে অনিয়মের অভিযোগে চাকুরিচ্যুত করা হয়। প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হওয়ার সুখবরের পর আদালতের আদেশে চাকরীতে বহাল হয়ে আবারও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করছে। শীগ্রই পরিচালনা কমিটি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বৈঠক শেষে সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন খান’র কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি জানান, উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপার পদে আদালতের আদেশ পেয়েছি। তাই মাদরাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের যুক্তিক কোনো কারণ আমার জানা নেই। যেহেতু আমি এখনও শিক্ষার্থীদের সাথে শ্রেণি কক্ষে ভাব বিনিময় করতে পারিনি, সেহেতু তাদের সাথে আমার কোনো প্রকার ঝামেলা হওয়ার সুযোগই নেই। শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক এডোভ কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম’র ইন্দনেই আজকের এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যেহেতু বিক্ষোভ করেছে, সেহেতু প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো শিক্ষকও এ ঘটনার সাথে জাড়িত থাকতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি আরো জানান, আমি বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। আমি এর সুষ্ঠ ও স্থায়ী সমাধান চাই।