[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

৯২

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে “হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের উপর সস্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৬ মার্চ ) বিকাল ৪টায় স্কুল প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধন থেকে হামলাকারী নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালু সোনা সহ সকল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবী জানায় এলাকাবাসী।

জানা যায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় গত ৪ মার্চ শনিবার লামা উপজেলার হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাগলির আগাস্থ মঞ্জুরের বাগানের পাশের রাস্তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিংবা মামলা করলে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিয়েছে অভিযুক্তরা।

এদিকে এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন। অভিযুক্তরা হল, হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা মৃত কবির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা (৩৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ ইসমাইলের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২) ও নতুন পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে ছৈয়দ নুর (৪৬), সাশুল আলম (৫০) ও নুরুল হুদা (৪৬), হারগাজা প্রামের বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাবুল (৩০) ও নুরুল ইসলামের ছেলে কবির আহাম্মদ (৩৮)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের ওপর আগেও বিভিন্ন সময় হামলা ও ভয়ভীতি দেখায়। সর্বশেষ শুক্রবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষক রুহুল আমিনের ওপর হামলা করে।

এ সময় প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনকে মারধরের পাশাপাশি স্কুলের নামে ব্যাংকে এফডিআরের জন্য রাখা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় কর্তৃক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার বিষয়ে শুক্রবার সকালে স্কুলে যাই। কাজ শেষে মোটর সাইকেল চড়ে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে হামলা চালায়। এতে আমি আহত হই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন আমার জমির উপর দিয়ে তার ধানের জমিতে সেচের পানি পরিবহন করে আসছেন। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাধা দিলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়।