[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ৬৭৫ মৎস্যজীবি পেল সরকারের ভিজিএফ চালরুমা উপজেলা জাতীয় পুস্টি সপ্তাহের র‌্যালি ও আলোচনা সভারামগড় সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলরাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধস ও প্রাণহানির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের সতর্কতা জারিসড়কে চাঁদাবাজি, গুইমারায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক দুইগণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভলংগদুতে আলীম পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালনখাগড়াছড়ি দীঘিনালায় দু:স্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণকুয়েট শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে দীঘিনালায় বিক্ষোভ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নারীরা চিন্তা চেতনার দিক থেকে এখন কোনভাবেই পিছিয়ে নেই

স্বামীর সহযোগীতায় ছোটকালের স্বপ্ন তাঁত কেন্দ্রের বাস্তবায়ন করলো মিতা চাকমা

১৩৪

॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি ॥
ছোটকালের নিজের লালিত স্বপ্নকে অবশেষে স্বামীর সংসারে এসে স্বামীর সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেছি। অনেক প্রচেষ্টায় তাঁত কেন্দ্র করে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়-প্রদশর্নী প্রতিষ্টান উদ্বোধন করেছি। বর্তমানে ১৮টি তাঁত থাকলেও ১২টি তাঁত চালু রেখেছি। অর্থের অভাবে বাকি তাঁতগুলো চালু করতে পারছিন না। তবে শেষ বয়সে হলেও আমার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে নিজস্ব উদ্যেগে গড়া মিতা টেক্সটাইল হতে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী উদ্যেক্তা মিতা চাকমার পথ চলা। গত শুক্রবার সকাল ৯ টায় মাইসছড়ি বাজারের পাশে নোয়াপাড়াতে ষ্টল বসিয়ে মিতা টেক্সটাইলে উৎপাদিত বস্ত্র বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করেন মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট মৌজা প্রধান স্বদেশ প্রীতি চাকমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও এলাবাসীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

উদ্বোধনকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা নারী উদ্যেক্তা মিতা চাকমার উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ উদ্যেগের ফলে শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা বেকারত্ব দূর হবে তা নয়, এতে করে মহালছড়ি বাসী তথা খাগড়াছড়ি জেলাবাসী উপকৃত হবে। তিনি আরো বলেন, নারীরা এখন চিন্তা চেতনার দিক থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। এভাবে নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হওয়ার মতো যোগ্যতা তৈরি করা কম কথা নয়। বেকার না থেকে নারী পুরুষ সকলেই নিজ উদ্যেগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে আসা ননিকা চাকমা নামের এক ক্রেতা জানান, কাপড়ের দামও কম আর গুনগত মানও ভালো। এই এলাকায় এ ধরণের একটা উদ্যেগ নেয়ার জন্য মিতা চাকমা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। পিনোন, খাদির জন্য এখন থেকে রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়ি সদরে যাওয়া লাগবে না। অল্প টাকায় এখান থেকেই কেনা যাবে।

মিতা টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী মিতা চাকমা বলেন, ছোটকাল থেকেই তাঁত শিল্পের প্রতি আগ্রহ থাকলেও পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে উদ্যেগ নিতে পারিনি। সরকারি বা বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে তাঁতের সংখ্যা বাড়িয়ে পিনন, খাদি ও গামছা ছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তৈরি করা যেত। এতে করে এলাকার বেকারত্ব দূর হতো আর আর আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।