[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নারীরা চিন্তা চেতনার দিক থেকে এখন কোনভাবেই পিছিয়ে নেই

স্বামীর সহযোগীতায় ছোটকালের স্বপ্ন তাঁত কেন্দ্রের বাস্তবায়ন করলো মিতা চাকমা

১৩৫

॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি ॥
ছোটকালের নিজের লালিত স্বপ্নকে অবশেষে স্বামীর সংসারে এসে স্বামীর সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেছি। অনেক প্রচেষ্টায় তাঁত কেন্দ্র করে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়-প্রদশর্নী প্রতিষ্টান উদ্বোধন করেছি। বর্তমানে ১৮টি তাঁত থাকলেও ১২টি তাঁত চালু রেখেছি। অর্থের অভাবে বাকি তাঁতগুলো চালু করতে পারছিন না। তবে শেষ বয়সে হলেও আমার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে নিজস্ব উদ্যেগে গড়া মিতা টেক্সটাইল হতে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী উদ্যেক্তা মিতা চাকমার পথ চলা। গত শুক্রবার সকাল ৯ টায় মাইসছড়ি বাজারের পাশে নোয়াপাড়াতে ষ্টল বসিয়ে মিতা টেক্সটাইলে উৎপাদিত বস্ত্র বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করেন মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট মৌজা প্রধান স্বদেশ প্রীতি চাকমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও এলাবাসীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

উদ্বোধনকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা নারী উদ্যেক্তা মিতা চাকমার উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ উদ্যেগের ফলে শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা বেকারত্ব দূর হবে তা নয়, এতে করে মহালছড়ি বাসী তথা খাগড়াছড়ি জেলাবাসী উপকৃত হবে। তিনি আরো বলেন, নারীরা এখন চিন্তা চেতনার দিক থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। এভাবে নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হওয়ার মতো যোগ্যতা তৈরি করা কম কথা নয়। বেকার না থেকে নারী পুরুষ সকলেই নিজ উদ্যেগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে আসা ননিকা চাকমা নামের এক ক্রেতা জানান, কাপড়ের দামও কম আর গুনগত মানও ভালো। এই এলাকায় এ ধরণের একটা উদ্যেগ নেয়ার জন্য মিতা চাকমা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। পিনোন, খাদির জন্য এখন থেকে রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়ি সদরে যাওয়া লাগবে না। অল্প টাকায় এখান থেকেই কেনা যাবে।

মিতা টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী মিতা চাকমা বলেন, ছোটকাল থেকেই তাঁত শিল্পের প্রতি আগ্রহ থাকলেও পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে উদ্যেগ নিতে পারিনি। সরকারি বা বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে তাঁতের সংখ্যা বাড়িয়ে পিনন, খাদি ও গামছা ছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তৈরি করা যেত। এতে করে এলাকার বেকারত্ব দূর হতো আর আর আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।